মৃত্যুর পর চল্লিশা হবে কি না, সন্তানরা পারবে কি না- এই ভেবে আর বসে থাকেননি বানেছা বেওয়া। জীবিত থাকতে নিজেই আয়োজন করে ফেললেন নিজের চল্লিশা। বানেছার বয়স এখন ৯৬। রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাস কমলাপুর গ্রামের প্রয়াত ইনছার আলীর স্ত্রী তিনি।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গ্রামে সাজানো হয় বিশাল প্যান্ডেল। নীল-সাদা সামিয়ানা, গরু-ছাগল জবাই, আর দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না। দুপুর থেকেই আশপাশের গ্রাম, এমনকি দূরের মানুষও ছুটে আসেন এই ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হতে। চল্লিশার খাবার খেতে বসেন সবাই, আর চেয়ে থাকেন বানেছা বেওয়া।

১২ সন্তানের মা বানেছা বেওয়া। এ আয়োজনে বানেছার ৮ ছেলে, ৪ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ প্রায় ৬০ জন পরিবারের সদস্য একত্রিত হন। সবাই দোয়া করেন বানেছার জন্য।

বানেছা বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও মনটা আজও টগবগে। ঘুরে ঘুরে সবার খাওয়া দেখলেন। বললেন, “মরার পরে যদি কেউ চল্লিশা না করে, তাই আগেই করলাম, তাতে সবাইকে খাওয়ানোও হলো, দোয়াও পেলাম। এখন মনে শান্তি লাগছে। মরার পরে না, বেঁচে থাকতেই মানুষের দোয়া পাওয়া যে কত সুন্দর!”

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গফরগাঁও থানায় গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, আলাল উদ্দিন ১৯৯৯ সালে ভরভরা গ্রামের রুস্তম আলীর কাছ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি কিনে নেন। রুস্তম আলী ওই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর আলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলেরা প্রায় দুই যুগ ধরে সেখানে চাষাবাদ করে আসছেন। গত আমন মৌসুমে আলাল উদ্দিন জানতে পারেন, তিনি রুস্তম আলীর (বর্তমানে মৃত) কাছ থেকে যে জমি কিনে ভোগদখল করে আসছেন, সাফকবলা দলিলপত্রে উল্লেখ করা দাগ নম্বরের সঙ্গে ওই জমির দাগ নম্বরের মিল নেই।

আলাল উদ্দিনের কেনা জমির দলিলপত্রে আলালপুর মৌজার যে দাগ নম্বরের উল্লেখ রয়েছে, সেটাও রুস্তম আলীর জমি। কিন্তু ওই জমি রুস্তম আলী ১৯৯৪ সালে অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষ সালিশ বৈঠক ডাকে। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় আলাল উদ্দিন যে জমি ভোগ করছেন সেই জমির দলিলপত্র সংশোধন করে দেওয়ার। কিন্তু রুস্তম আলীর ছেলেরা সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। উপায়ান্তর না পেয়ে দাগ নম্বর সংশোধনীর জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন আলাল উদ্দিন।

আদালত বিক্রেতা পক্ষকে তাদের দলিলপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হতে নোটিশ পাঠান। নোটিশ পেয়ে আলাল উদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রুস্তম আলীর ছেলেরা। আলাল উদ্দিনের রোপণ করা ধান কেটে নিয়ে জমিটি দখল করে প্রতিপক্ষ। এর পর থেকে হুমকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্তরা।

হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে রুস্তম আলীর ছেলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আলাল আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করেছেন। এখন যা করবে প্রশাসনই করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ