গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে বিশেষ দোয়া শুক্রবার
Published: 10th, April 2025 GMT
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম গণহত্যায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শুক্রবার দেশের সব মসজিদে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরায়েল বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি এবং গাজাবাসীকে দুর্ভিক্ষের মুখে নিপতিত করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যায় মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি গভীর শোক, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গাজায় গণহত্যায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে সর্তক ও সজাগ থাকা জরুরি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।