বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
Published: 12th, April 2025 GMT
দেশের প্রথম প্যাকেজ অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন প্রতিবারের মত এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নির্মাণ করেছে বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন। নাটকীয়ভাবে এর প্রতিটি আইটেম উপস্থাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন।
পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। ব্যস্ত নগর কিংবা গ্রামীণ জীবন যেটাই বলা হোক না কেন, এই নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। বৈশাখী পাঁচফোড়নের এই পর্বে দেখা যাবে পহেলা বৈশাখের দিনে এক দম্পতি পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে তাদের বিভিন্ন কথোপকথনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোটিং।এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইন্তেখাব দিনার।
বাংলা বর্ষবরণ নিয়ে এবারের পাঁচফোড়নে ‘নবীনের ডাক এসো’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটির কথা লিখেছেন প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী পান্থ কানাই কণ্ঠ দিয়েছেন ‘পঞ্জিকাটা বদলে গেল’ শিরোনামে আর একটি গানে। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি লিটন অধিকারী রিন্টু। দুটি গানেরই সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন কল্যাণ। নান্দনিক চিত্রায়ণ ও শিল্পীদের চমৎকার অভিনয় সমৃদ্ধ গানগুলো দর্শকদের ভালোবাসার আনন্দ দেবে। এছাড়া গাছের পাতা দিয়ে চমৎকার গানের সুর তুলেছেন মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শাড়ি বিশেষ করে বৈশাখের শাড়ি ও তাঁতের শাড়ি বিক্রির সবচেয়ে বড় হাট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাপড়ের হাটের উপর রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। কর্মহীন গৎবাঁধা জীবন থেকে বের হয়ে জীবনকে গল্প-গুজব, হাসি-আনন্দে ভরে তুলতে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামের কিছু যুবক মিলে প্রতিষ্ঠা করেন একটি ব্যতিক্রমী ক্লাব ‘চাপালী যুব সংঘ’। এই ক্লাবের মাধ্যমে প্রবীণদের কর্মকা- নিয়ে রয়েছে আর একটি প্রতিবেদন।
পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়েই বিভিন্ন ধরনের নাট্যাংশ করা হয়। এবারও বৈশাখের উপর বেশ ক’টি ব্যঙ্গাত্মক এবং রসাত্মক নাট্যাংশ রয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, আব্দুল আজিজ, কাজী আসাদ, মোহাম্মদ বারী, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুল, আনোয়ার শাহী, আনোয়ারুল আলম সজল, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, জাহিদ শিকদার, জাহিদ চৌধুরী, মতিউর রহমান, বাহার, রতন খান, পুতুল, রেশমা, আলভীসহ আরো অনেকেই।
অনুষ্ঠানটি এটিএন বাংলায় প্রচার হবে আগামী ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ), সোমবার-রাত ৭ টা ৫০ মিনিটে। পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য গ জ ন অন ষ ঠ ন অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।