রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) খুলনা কারখানা থেকে ৪৫ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ‘অতিরিক্ত জনবল’ দেখিয়ে সম্প্রতি তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

চাকরিচ্যুতরা জানান, তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এ কোম্পানিতে চাকরি করছেন। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল অফিস ছুটির সময় তাদের বলা হয়, রবিবার (১২ এপ্রিল) থেকে আর অফিসে আসতে হবে না। তারা অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

কারখানায় সিনিয়র ক্লার্ক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন রাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে চাকরি করছি এখানে। ২০১৩ সালে চাকরি স্থায়ী হয়। গত ১০ এপ্রিল অফিস ছুটির পর ৪৫ জনকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়।’’ 

আরো পড়ুন:

সুষ্ঠুভাবে খুবি ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ব্যতিক্রমী একাডেমিক ক্যালেন্ডারে সেশনজট মুক্ত খুবি

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনবলের কারণে শ্রম আইনের ধারা-২৬ অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে টারমিনেশন করা হলো। 

রাকিব হাসান আরো বলেন, ‘‘খুলনাসহ প্রতিটি কারখানাতেই অতিরিক্ত জনবল রয়েছে। এছাড়া কয়েক মাস আগে খুলনা কারখানায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক-কর্মচারীকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই শেষ বয়সে কোথায় চাকরি পাব?’’

গোপালগঞ্জে জেলার বাসিন্দা একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে চাকরি করে আসছি। শুধু গোপালগঞ্জ জেলার লোকদের টার্গেট করে ছাঁটাই করা হচ্ছে।’’

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল আজিম তুষার বলেন, ‘‘অতিরিক্ত জনবলের কারণে খুলনা থেকে ৪৫ জন, বগুড়া থেকে ৫৪ জন, গোপালগঞ্জ থেকে ১০ জন ও ঢাকা অফিস থেকে ১৪০ জনকে টারমিনেশন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর চ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব।

এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়  ৪ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এদিন সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গত ৯ এপ্রিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ