ফুটবলে তিন ছেলের কে কেমন, জানালেন মেসি
Published: 18th, April 2025 GMT
বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির ঘরেই যেন গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের তিন তারকা। থিয়াগো, মাতেও আর সিরো—তিন পুত্রই এখন নিয়মিত ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। অনুশীলন থেকে শুরু করে মাঠের খেলার পর বল নিয়ে ছুটোছুটি, সবখানেই দেখা মিলছে ফুটবল নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস। আর এ নিয়েই মুখ খুলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
‘সিম্পলি ফুটবল’ নামের একটি অনুষ্ঠানে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে কথা বলেন মেসি। বলেন, ‘ওরা সারাদিনই বল নিয়েই থাকে। ওদের সঙ্গে সময় কাটানো আমি খুব উপভোগ করি। প্রতিদিন ওরা অনুশীলন করে, ম্যাচ খেলে, পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
মেসির তিন ছেলে একেবারে ভিন্ন ধাঁচের ফুটবলার। মেসির মতে, বড় ছেলে থিয়াগো (১২) অনেক বেশি গোছানো, ভেবেচিন্তে খেলে, মাঝমাঠের খেলোয়াড় হওয়ার উপযুক্ত। ‘ও খুব চিন্তাশীল, খেলার মাঝে অনেক পরিকল্পনা করে। একজন আদর্শ মিডফিল্ডার টাইপ।’
মাঝের ছেলে মাতেও (৯) সম্পর্কে মেসির মূল্যায়ন, ‘সে একজন ফরোয়ার্ড, সবসময় গোল করতে চায়। গোলের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। বুদ্ধিমান খেলোয়াড় বলা যায়।’
ছোট ছেলে অর্থাৎ সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির মন্তব্যটা এমন, ‘চিরো আরও বিস্ফোরক। সে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে এবং একজন ওয়ান অন খেলোয়াড়। সে নিজের খেলা তৈরিতে বেশি আগ্রহী।’
তবে তিন ছেলের মধ্যে কাকে সেরা বলা যায়—সে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি মেসি। হেসে বলেন, ‘আমি যদি একজনের নাম বলি, তাহলে বাকিরা এসে বলবে তুমি তার নাম কেন বললে! তাই এই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছেই রাখি।’
ফুটবল নিয়ে ছেলেদের আগ্রহ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা সবাইকে নিয়ে কথা বলে। এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, হলান্ড, লেভান্ডোভস্কি, এমনকি লামিন ইয়ামালও বাদ যায় না। তারা সব দেখে, সব জানে। যদিও তাদের মত হতে চায় না, তবে জানাশোনা অনেক।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”
ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”
সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”
“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।