আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে দুই টেস্টের সিরিজ। প্রায় চার বছর পর টেস্টে মুখোমুখি হতে চলা দুই দলের আগের লড়াইয়ে বাংলাদেশের কারা ছিলেন সেরা পারফরমার, কতটা ভালো করেছেন, সেটিই দেখুন সংখ্যায় সংখ্যায়।১৮

বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছে ১৮টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতে, জিম্বাবুয়ে ৭টি। বাকি তিনটি শেষ হয়েছে ড্রতে।

২০০১ সালে হোম ও অ্যাওয়ে মিলিয়ে মোট ৪টি টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে। তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ে দুই দল একবারও মুখোমুখি হয়নি।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সেরা ৫

বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে লড়াইয়ে দুই দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রান জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরের (২৪ ইনিংসে ১২৩৯)। এমনকি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮৩ রানও জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেও দুই দল মিলিয়ে তিনি তৃতীয় স্থানে। তবে এবারের সিরিজেই মাসাকাদজাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে।

বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩টি সেঞ্চুরি আছে মুমিনুল হকের, যিনি এবারের সিরিজের দলেও আছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ফিফটি করা হাবিবুল বাশার (৭টি) অবসর নিয়েছেন দেড় যুগ আগেই।

বোলিংয়ে সেরা ৫

বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন এলটন চিগম্বুরা, তবে ১৬ ইনিংস বলা করা এই মিডিয়াম পেসার উইকেটশিকারের দিক থেকে বেশ পেছনে (১৮ উইকেট)। ১২ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট তাইজুল ইসলামের—৪১ উইকেট। দুই দলের সম্মিলিত তালিকার শীর্ষ ৫ উইকেট সংগ্রাহকের ৩ জনই বাংলাদেশের।

১০

বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্টে ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত তিনজন বোলার। তিনজনই বাংলাদেশি—এনামুল হক জুনিয়র (১২ উইকেট, ২০০৫ সালে ঢাকায়), সাকিব আল হাসান (১০ উইকেট, ২০১০ সালে খুলনায়), তাইজুল ইসলাম (১১ উইকেট, ২০১৮ সালে সিলেটে)।

৫৬০

মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি বাংলাদেশের। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল মুমিনুল হকের দল।

১০৭

দুই দলের লড়াইয়ে সর্বনিম্ন ইনিংসটিও বাংলাদেশের। ২০০১ সালের নভেম্বরে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৭ রানে অলআউট হয়েছিল নাইমুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই দল সবচ য় উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ