হামাগুড়ি দিয়েই কামলা খাটেন মধু মহালদার, পরিশ্রমের মূল্যায়ন না পাওয়ায় আক্ষেপ
Published: 19th, April 2025 GMT
দরিদ্র পরিবারে জন্মের এক বছর পর রোগে আক্রান্ত হন মধু মহালদার। ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় তাঁর দুই পায়ের মাংস। চিকিৎসার অভাবে একপর্যায়ে দুটি পা অকেজো হয়ে যায়, বরণ করেন স্থায়ী পঙ্গুত্ব। এর পর থেকে হামাগুড়ি দিয়েই জীবনের ৩৫ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মধু হালদারের (৩৫) বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার শোলপুর গ্রামে। মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচসহ সংসারের ভার পুরোটাই একা মধুর ঘাড়ে। তাই অসুস্থতাকে সঙ্গী করেই হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মধু। তবে পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন পান না বলে দাবি তাঁর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মধু মহালদার রোগে আক্রান্তের একই বছর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তাঁর বাবা পেরমত মহালদার ও একমাত্র বড় বোন কবিতা মহালদার। এর পর থেকে মা কাজল রানি বহু কষ্টে তাঁকে লালনপালন করেন। তবে অর্থাভাবে মধুর উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। একটু বয়স হলেই অভাবের সংসারের হাল ধরতে কাজে নামতে হয় মধুকে। পড়াশোনা শেখার বয়সে তাঁকে শিখতে হয় চাষাবাদ। সেই থেকে অন্যের খেতখামারে কাজ করেই মাকে নিয়ে মধুর সংসার চলতে থাকে।
গরুকে খড় দিয়ে গোয়াল থেকে বের হচ্ছেন মধু মহালদার (৩৫)। শুক্রবার সকালে নড়াইল সদর উপজেলার শোলপুরে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’
এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।