কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাল্টাপাল্টি উন্মাদনায় ঝড় তুলেছে জেমিনি আর চ্যাটজিপিটি। এবার দুই নির্মাতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মার্ক জাকারবার্গ। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেটা কিছুদিন আগে উদ্ভাবন করেছে নতুন এআই মডেল ‘লামা’ ফোর সংস্করণ।
মডেলটি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম আর ওয়েবে মেটা এআই সম্পাদনাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লামা সরাসরি ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটি আর গুগল জেমিনিকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করবে। নতুন মডেলে কী কী থাকছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।
লামা ফোর মডেল সিরিজের দুটি সংস্করণের ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে স্কাউট ও ম্যাভেরিক সংস্করণ রয়েছে। দুটি সংস্করণই মেটার ওয়েবসাইট আর হাগিং ফেস থেকে ডাউনলোড সুবিধা পাওয়া যাবে। উদ্ভাবিত দুটি মডেল চীনের এআই ‘ডিপসিক’ মডেলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে।
নব্য দুটি সংস্করণ মিক্সচার অব এক্সপার্টস নামে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। হালকা ও কমপ্যাক্ট মডেলের সংস্করণ এটি স্কাউট, যা মূলত একক এনভিডিয়া এইচ১০০ জিপিইউতে সহজেই নিজের কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে। ছোট্ট প্রম্পটে দ্রুত কাজ করতে পারে এমনিভাবে একে ডিজাইন করা। অন্যদিকে, দুর্দান্ত শক্তিশালী আর মানোন্নত মডেল ম্যাভেরিক, যা ওপেনএআই জিপিটি-ফোরও আর গুগল জেমিনি ২.
উদ্ভাবনী মেটা এখন আরেকটি শক্তিশালী মডেল লামা ফোর সিরিজের বেহেমথ সংস্করণ উন্নয়নে কাজ করছে। জাকারবার্গ একে সবচেয়ে শক্তিশালী মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মেটার দাবি, লামা হবে সময়ের সবচেয়ে স্মার্ট এলএলএম ভাষার অন্যতম এআই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে এমন প্রতিযোগিতা অদূর ভবিষ্যতে অদেখা সভ্যতার কথাই বলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দরজার ক্যামেরায় ‘এলিয়েন’
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর বাড়ির দরজায় লাগানো ক্যামেরায় (ডোরবেল ক্যামেরা) ধরা পড়েছে এক ‘রহস্যময়’ অবয়ব, যা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে নানা জল্পনা।
ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পটন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জেসিকা ওর্তিজ তাঁর বাড়ির বাইরের দিকের দরজায় লাগানো ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওর একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায়, রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি ছায়ামূর্তি।
ভিডিও দেখে তাঁর ছেলে তাঁরই মতো হতভম্ব হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন এই নারী। সংবাদমাধ্যম এনবিসি লস অ্যাঞ্জেলেসকে ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ছেলে বিছানা থেকে উঠে পরপর তিনবার ভিডিওটা চালায়। শেষবার দেখে বলে ওঠে, “মা, এটা একটা এলিয়েন। পুলিশে ফোন করো।”’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এলিয়েনের জন্য পুলিশ ডাকব? লোকে তো আমাকে পাগল ভাববে!’
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি ১০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমেও ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ বলেছেন, এটি এলিয়েন বা অন্য কোনো রহস্যময় প্রাণী হতে পারে। কেউ আবার এমন ধারণাও প্রকাশ করেছেন, এটি হয়তো কোনো মানুষ, যাঁর মাথায় টুপি ছিল বা তিনি হালকা রঙের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। দূর থেকে ক্যামেরায় তা এলিয়েনসদৃশ ছায়া তৈরি করেছে।
তবে এ পর্যন্ত কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে এই ছায়ামূর্তির প্রকৃত উৎস কী। এখনো ভিডিওর রহস্যময় অবয়বের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা এলিয়েনই। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা এতটাই সৃজনশীল যে শুধু আমাদের দিয়েই জীবন সৃষ্টি থেমে যেতে পারে না।’
পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিশ্বাস আছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তারা মাঝেমধ্যে পৃথিবীতে আসে। তাদের এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী বলা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে এই এলিয়েন দেখতে পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি।