জমজমাট লড়াইয়ের পর ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’ পেলাে ১০ জন প্রতিযোগী
Published: 20th, April 2025 GMT
দীপ্ত টিভিতে চলছে অভিনয়প্রতিভা খোঁজার প্ল্যাটফর্ম ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’। যা দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ১০টায়। দীপ্ত প্লে ও দীপ্ত ডিজিটালের অন্যান্য মাধ্যমেও দর্শকরা উপভোগ করতে পারছেন এই গ্রাউন্ডব্রেকিং রিয়েলিটি শো।
চুড়ান্ত হয়েছে টপ টেন
দীপ্ত স্টার হান্টের ট্যালেন্টেড টুয়েলভের এপিসোড মোট ১২ জন প্রতিযোগী তাদের বিভিন্ন পারফর্ম্যান্স দিয়ে মূল জুরি বোর্ডের সঙ্গে অতিথি জুরিদের মূল্যায়ন গ্রহণ করে টপ টেন নির্বাচিত হয়েছেন-শফিউল রাজ, হাফিজ রহমান, শাকিব হোসেন, শিমুল বিশ্বাস, এম.
জুরিবোর্ড
তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন এবং রাফিয়াত রশিদ মিথিলার মতো তারকাজুরির সাথে অতিথি জুরি হিসেবে ট্যালেন্টেড টুয়েলভের দুই এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা গাজী রাকায়েত ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু।
সুপারস্টার হওয়ার পথে সেরা প্রতিযোগীদের সুযোগ
‘দীপ্ত স্টার হান্ট’ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা না, এটি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। কারণ দীপ্ত স্টার হান্টের বিজয়ীরা পাবেন বড় পর্দার সিনেমা, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ ও টিভি সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ। কাজী মিডিয়া লিমিটেড বিজয়ীদের সঙ্গে দুই বছরের এক্সক্লুসিভ চুক্তি করবে, যেখানে তারা নিয়মিতভাবে অভিনয়ের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন।
দীপ্ত স্টার হান্ট সঞ্চালনা করছেন ইসমাত জেরিন চৈতি এবং এর নির্বাহী প্রযোজনার দায়িত্বে আছেন সাইফুর রহমান সুজন। পরিচালনায় আছেন ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল