ফকিরাপুলে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
Published: 20th, April 2025 GMT
ঢাকার ফকিরাপুলে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২০এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মতিঝিলের ফকিরাপুল গরম পানির গলির একটি বাসার চতুর্থ তালায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন, কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫), তার ছেলে রিয়াজ হোসেন (২১) ও কামরুন্নেসার বোন কুলসুমা আক্তার (৩০)। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। রিয়াজ হোসেন ঢাকার শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজের অনার্সের ছাত্র।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম খলিল জানান, বাড়ির চতুর্থ তলায় ওই তিন জন ভাড়া থাকেন। বাসায় রান্না করে বিভিন্ন মেসে খাবার সরবরাহ করতেন তারা। সকাল থেকে বাসায় দুটি চুলায় রান্না করছিলেন। এসময় সেখানে গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে তিনি বাসায় গিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, ফকিরাপুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিন জনকে হাসপাতালে আনা হয়। দুই জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এখনো অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন শাবানা
চার দশক ধরে এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা মানুষের মনে গেঁথে গেছে। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা শাবানার নাম শুনলে আবেগপ্রবণ হন, গর্ব বোধ করেন। ২৫ বছর আগে অভিনয়কে বিদায় জানানো শাবানা এখনো কোটি বাঙালির হৃদয়ে অভিনয়ের রানি হয়ে আছেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনয়ের এই রানির আজ জন্মদিন। ১৯৫২ সালে আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসেবে ৭৩ বছর পূর্ণ করে ৭৪–এ পদার্পণ করলেন শাবানা।
মাত্র আট বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয়ে নাম লেখান শাবানা। এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ নামের ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ‘চকোরী’ ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু। ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন চলচ্চিত্রের গুণী এই অভিনয়শিল্পী।
অভিনয়জীবনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। শুরুর দিকে নিউইয়র্কে থাকলেও এখন স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়ে নিউ জার্সিতে থাকছেন।
শাবানা যখন অভিনয় ছেড়ে দেন, তখন ফেসবুক ছিল না। সামাজিক যোগাযোগের অন্য কোনো মাধ্যমও ছিল না। এখন এই বিশেষ দিনে পরিচিত, অপরিচিত সবাই ফেসবুকে নানা কিছু লিখছেন। পুরোনো দিনের অনেক স্থিরচিত্রও পোস্ট করে থাকেন।
জুটি হিসেবে আলমগীরের সঙ্গেই তিনি ১৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া রাজ্জাক, ওয়াসিম, উজ্জ্বলের সঙ্গেও অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। পাকিস্তানি নায়ক নাদিমের সঙ্গেও দর্শক তাকে পছন্দ করেছিল।
শাবানার উল্লেখযোগ্য সিনেমা গুলো হল- ‘চকোরী’, ‘মধু মিলন’, ‘অবুঝ মন’, ‘চান্দ সুরজ’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ছদ্মবেশী’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘চৌধুরী বাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘স্বীকৃতি’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অতিথি’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘জননী’, ‘মাটির ঘর’, ‘সখী তুমি কার’, ‘শেষ উত্তর’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘নাজমা’, ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘লালু ভুলু’, ‘মা ও ছেলে’, ‘লাল কাজল’, ‘নালিশ’, ‘ঘরের বউ’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘নতুন পৃথিবী’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘বাসেরা’, ‘হালচাল’, ‘চাঁপা ডাঙ্গার বউ’, ‘অশান্তি’, ‘বিরোধ’ ও ‘স্বামী স্ত্রী’ ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৭৩ সালে শাবানা বিয়ে করেছেন পরিচালক ওয়াহিদ সাদিককে। দুটি কন্যা ও একটি পুত্রসন্তান ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে চলে যান।