রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভাগগুলোতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীদের প্রার্থীদের জন্য আবেদনপত্র জমার সুযোগ থাকছে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত। আবেদনপত্র জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। ভর্তির যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্যসহ পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি এবং প্রাথমিক আবেদনপত্রের নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট -তে পাওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত অন্য শর্তাবলী সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে জেনে নিতে হবে।

আবেদনের নিয়মাবলী—

*প্রাথমিক আবেদনপত্রের সঙ্গে সকল পরীক্ষার সনদপত্র ও মার্কস সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। ভর্তির প্রাথমিক আবেদনপত্রে সরবরাহকৃত তথ্যাদি ভুল প্রমাণিত হলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

*চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এমফিল কোর্সে গবেষণার জন্য ১ (এক) বছর এবং পিএইচডির জন্য ২(দুই) বছরের ছুটি পাবেন-এই মর্মে সম্মতিপত্র (নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের) অবশ্যই আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত৪ ঘণ্টা আগে

*বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক এমফিল/পিএইচডি ফেলোদের ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। তবে চাকরিরত ফেলোদের ছুটি শেষ হলে তাদের ফেলোপিশ প্রদান করা হবে না। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে এমফিল/পিএইচডি কোর্সে আবেদনকৃতদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ফেলোদের নির্বাচন করা হবে।

*সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন (প্রজ্ঞাপন: শিম/শাঃ১১/৫-১(অংশ)/৫৮২, তারিখ ২.

৬.২০০৯) অনুসারে ২০০১, ২০০২, ২০০৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০০৩ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

আরও পড়ুনবেলজিয়ামে আইইএলটিএস ছাড়াই যেভাবে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ক. এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা

১.

প্রার্থীর অবশ্যই এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটিতে ন্যূনতম প্রথম বিভাগ ও অন্যটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে;

২.

কলা/আইন/সামাজিক বিজ্ঞান/চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটিতে ন্যূনতম ৫৫% ও অন্যটিতে ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে (তবে কলা অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে) অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলের মধ্যে উভয় পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে। তবে কলা অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় একটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ ও অন্যটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে;

৩.

বিজ্ঞান/বিজনেস স্টাডিজ/জীব বিজ্ঞান/ভূ-বিজ্ঞান/কৃষি/প্রকৌশল/ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সস/ফিশারীজ অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫% নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।

৪.

এমবিবিএস/বিডিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে। চলমান পদ্ধতির অধীনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৬৫% নম্বর থাকতে হবে। ডিভিএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪ স্কেলের মধ্যে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।

আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব আলবার্টায় সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক–স্নাতকোত্তর–পিএইচডিতে সুযোগ০৫ এপ্রিল ২০২৫

৫.

যে সকল প্রার্থীর উপরে বর্ণিত ধারা স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো একটি শর্ত পূরণ হয় না, তাঁরা এম.ফিল. প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যদি তাদের—

(ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত)/সরকারি কলেজে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;

অথবা

(খ) স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকে;

অথবা

(গ) কোনো স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৩ (তিন) বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে বিষয় ভিত্তিক ন্যূনতম ২ (দুই)টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকে;

অথবা

(ঘ) বিদেশী প্রার্থী/বিদেশী ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজ দেশে/বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকে।

প্রার্থীদের এম.ফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে খণ্ডকালীন গবেষক হিসেবে ভর্তির সুযোগ থাকছে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন য নতম স জ প এ ৩ পর ক ষ র পর ক ষ য প এইচড ভর ত র র জন য সরক র বছর র এমফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির বৃত্তি, পাবে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি-প্রফেসর ইমেরিটাস ডা. সুলতান আহমেদ চৌধুরী সায়েন্টিফিক ট্যালেন্ট নার্চার ফান্ড স্টাইপেন্ড-২০২৪–এর আওতায় বিভিন্ন শ্রেণির মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণামূলক অনুদান বা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

কারা বৃত্তি পাবে—

১. নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।

২. সদ্য ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রী হতে হবে।

৩. আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই মেধাবী ও দরিদ্ররা আবেদন করতে পারবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২৮ এপ্রিল ২০২৫আবেদন করতে যা লাগবে—

১. নবম ও দশম শ্রেণির প্রার্থীকে বিগত বার্ষিক পরীক্ষায় শতকরা ৮০% নম্বর বা জিপিএ–৫.০০ পেতে হবে।

২. একাদশ শ্রেণির প্রার্থীকে বিগত এসএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে শতকরা ৮০% নম্বর বা জিপিএ–৫.০০ পেতে হবে।

৩. শতকরা ৮০ নম্বর প্রাপ্তির কাগজপত্র।

শিক্ষাবৃত্তির পরিমাণ—

১. নবম ও দশম ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হবে এক হাজার টাকা,

২. একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ১২০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে।

৩. সব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে এক বছরের জন্য।

আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?২৮ এপ্রিল ২০২৫*আবেদন করতে হবে—

১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

২. বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে:

৩. আবেদন করার শেষ তারিখ: ২০ মে ২০২৫।

৪. আবেদনপত্র যে ঠিকানায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে: সচিব, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা), আগারগাঁও, ঢাকা।

*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুন৭ বৃত্তিতে বিদেশে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ ২ দিন২৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির বৃত্তি, পাবে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষার্থীরা
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে মাস্টার্স, মেয়াদ এক বছর