নতুন মামলায় আমু, আনিসুল, পলকসহ ৬ জন গ্রেপ্তার
Published: 21st, April 2025 GMT
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হকসহ ছয়জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
অন্য যাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনাইদ আহমেদ পলক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।
সরেজমিন দেখা যায়, আজ সকাল আটটার পর কারাগার থেকে আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলকদের আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ১০টার দিকে তাঁদের আদালতকক্ষে তোলা হয়। এরপর শাহবাগ থানায় করা হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অন্যদিকে, মিরপুর থানায় করা হত্যা মামলায় তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর মিরপুর থানার আরেকটি হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া শেরেবাংলা নগর থানার একটি হত্যা মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক। এরপর বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এক কৃষকের মরিচখেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান তাঁর মরিচখেতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ওই গ্রেনেড পান। বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করেন। এরপর বিষয়টি বিশ্বম্ভরপুর থানার পুলিশকে জানানো হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মখলিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য ওই বস্তু দেখতে পায়। এরপর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় থাকা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ঘটনাটি জানানো হয়। আজ দুপুরে সেখান থেকে লেফটেন্যান্ট আল হোসাইনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে প্রথমে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে সেটি নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। নিষ্ক্রিয় করার সময় গ্রেনেডটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চারপাশের মাটি গর্ত হয়ে যায়।
সেনা কর্মকর্তা আল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে ১০০ বছরের কমবেশি সময়ে সক্রিয় থাকে। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর উচিত ছিল আগেই বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো। এটি বিস্ফোরিত হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হতে পারত।