রানে ফেরাটা বড্ড দরকার ছিল রোহিত শর্মার। প্রথম ৬ ম্যাচে একবারও ২০ রান করতে না পারা এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে চারপাশে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল। তবে গতকাল রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দুর্দান্তভাবেই ফিরে এসেছেন ভারতের ‘হিটম্যান’। ওয়াংখেড়েতে চেন্নাইয়ের ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক।

রোহিতের ব্যাটে ম্যাচ জেতানো ইনিংস এসেছে এমন দিনে, যে দিনের প্রথম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ফিফটি করেছেন বিরাট কোহলিও। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আইপিএলের একটি রেকর্ডে রোহিতের পাশে নাম লিখিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে রোহিত তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন।

পাশে বসা বা ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ম্যান অব দ্য ম্যাচের ক্ষেত্রে। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন কোহলি, যা আইপিএলে তাঁর ১৯তম। কোহলির আগে থেকেই আইপিএলে ১৯টি ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিল রোহিতের, যা পেয়েছিলেন গত বছরই।

২আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এখন রোহিত শর্মার

তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচের সংখ্যায় কোহলি পাশে বসার কিছুক্ষণ পরই আরেকবার পুরস্কারটি হাতে তুলেছেন রোহিত। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ৬ ছক্কা ৪ চারে ৪৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস তাঁকে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে, আইপিএলে যা ২০তম। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচের রেকর্ডটি তাই এককভাবে রোহিতেরই রইল।

একই দিনে ব্যাট হাতে ফিফটি করেছেন কোহলি–রোহিত দুজনই।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ক হল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ