৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র পেতে আবেদন আহ্বান
Published: 21st, April 2025 GMT
৪১তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নম্বরপত্র পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা পরীক্ষার নম্বরপত্র সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে নিতে পারবেন। এ জন্য পিএসসিতে আবেদন করতে হবে। পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির ৪২ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্ত অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে যে ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা৬ ঘণ্টা আগেলিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কমিশনের নির্ধারিত নমুনা আবেদনপত্র ছক পূরণ করে সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে ১,০০০ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ট্রেজারি চালানের মূল কপিসহ পূরণ করা আবেদনপত্র কমিশনের আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক, ইউনিট-১৩–এর দপ্তরে জমা দিতে হবে।
২৭ এপ্রিল থেকে আগামী ২০ মে পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদনপত্র নেওয়া হবে। পরিচালক (ইউনিট-১৩), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ এই ঠিকানায় পূরণ করা আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। এই সময়ের পর আর কোনো আবেদনপত্র নেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত৬ ঘণ্টা আগেলিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্র পেতে আবেদনপত্রের নমুনা কমিশনের ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব স এস
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন