পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জিন্দল গোষ্ঠীর ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন
Published: 21st, April 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এ লক্ষ্যে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরও দুটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার শালবনীতে এ প্রকল্প নির্মাণ করছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় জিন্দল গোষ্ঠীর মালিকানাধীন জেএসডব্লিউ এনার্জি। দুটি ইউনিটে ৮০০ মেগাওয়াট করে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই প্রকল্পে জিন্দল গোষ্ঠী ১৬ হাজার কোটি ভারতীয় রুপি বিনিয়োগ করবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সোমবার প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিন্দল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পার্থ জিন্দল, বাংলার দূত ও সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেএসডব্লিউ এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শরদ মহেন্দ্র বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বহুদিন পরে এ ধরনের জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে উঠছে। এতে আমরা গর্বিত। আগামী চার বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। এতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
শরদ মহেন্দ্র আরও বলেন, আগামীতে জিন্দল গোষ্ঠী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আরও ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প গড়ে তুলবে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় আয়োজিত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সন্মেলনে যোগ দিয়ে সজ্জন জিন্দল এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই কিনে নেবে রাজ্য সরকার। এই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের সঙ্গে জিন্দল গোষ্ঠীর ২৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়েছে।
জিন্দল গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তী ৪২ মাসের মধ্যে এই জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট এবং ৪৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে এই রাজ্যে আর বিদ্যুতের অভাব হবে না। এখন অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে। আগামীতে আরও বেশি করে মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। শিল্পায়নে এগিয়ে যাবে রাজ্য। বিদ্যুতের দামও কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে রাজ্যের ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং ২৩ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। এটি হবে পূর্ব ভারতে এ ধরনের প্রথম প্রকল্প। এটি হবে একটি পরিবেশবান্ধব প্রকল্প।
সজ্জন জিন্দল বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে। এই রাজ্যের শিল্প খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ প রকল প জ ন দল গ ষ ঠ র ন জ ন দল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি