বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৫ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ‘অদৃশ্য শত্রু: মাইক্রোপ্লাস্টিক-মাতৃত্ব ও নবজাতক স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) পাবলিক হেলথ বিভাগ।

রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত ডক্টরস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো.

আখতার হোসেন খান। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের তাৎপর্য ও সমসাময়িক স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে গবেষণা ও জনসচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো. মাহমুদুর রহমান। তিনি মাইক্রোপ্লাস্টিক দিয়ে পরিবেশদূষণ এবং এর মাতৃত্ব ও নবজাতক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরেন।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন দুজন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি ও সৌদি আরবের কিং খালেদ ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক শামসুন নাহার এবং মহিলাবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট হালিদা হানুম।

আলোচকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে মাইক্রোপ্লাস্টিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাস্তবধর্মী ও কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভবিষ্যতের এআই নিয়ে বিল গেটসের ভাবনা

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস পাঁচ দশক ধরে আলোচিত প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব। মাইক্রোসফটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন বিল গেটস। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে বেশ কয়েকবার প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিল গেটস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কিছু চমকপ্রদ ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটসের মতে, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পরিবর্তন খুব দ্রুত আসবে, যে কারণে সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।

বিল গেটস জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন কিছু কাজ কমিয়ে দেবে। তবে মানুষ আর প্রযুক্তি দুনিয়া প্রস্তুত না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনও আসবে। এই প্রযুক্তি মানুষকে আরও ভালো কাজ করতে বা আরও বেশি সময় ছুটি কাটাতে সুযোগ করে দেবে।

আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) সম্পর্কে বিল গেটস জানান, এআইয়ের উন্নত একটি রূপ এজিআই। এই প্রযুক্তি বিক্রয় বা গ্রাহক সহায়তার মতো জটিল কাজ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করতে পারে। এজিআই মানুষের কাছে ভিন্ন জিনিস হলেও একবার যখন মেশিন এজিআই বুঝে যাবে তখন কম খরচে আরও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে। তখন একটি বড় পরিবর্তন হবে।

আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এআই প্রযুক্তি দ্রুতগতির পরিবর্তন দেখে বেশ অবাক বিল গেটস। তাই তিনি নিজে কঠিন সব বিষয় বোঝার জন্য এআইকেন্দ্রিক বিভিন্ন টুল ব্যবহার করেন। তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিল গেটস জানান, তরুণদের কৌতূহলী হতে হবে। বিভিন্ন এআই টুলের ব্যবহার শিখতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেই চলার পথে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ