গাজায় পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, বন্ধ মানবিক সহায়তাও
Published: 24th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি ও তাঁবুর মতো আশ্রয়কেন্দ্রও ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। পাশাপাশি আট সপ্তাহ ধরে উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। এ পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আলজাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতভর এবং বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাতের কাছে একটি তাঁবুতে তিন শিশু এবং গাজা শহরের একটি বাড়িতে এক নারী ও চার শিশু নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক এক হামলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাঈদ আবু হাসানাইনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ২৩২ সাংবাদিক নিহত হলেন।
গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার তারেক আবু আযুম বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকা স্পষ্টতই ইসরায়েলি সেনা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সাক্ষী হচ্ছে। এখানকার অক্ষত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ইসরায়েলের আক্রমণের কোনো বিরতি নেই, কোনো করুণা নেই, কোনো মানবতা নেই।’
প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল ত্রাণ সহায়তা অবরোধ করে রাখায় গাজার মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এটিকে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ‘ফিলিস্তিনি জীবনের ইচ্ছাকৃত ধ্বংসাবশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা এখন সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অপুষ্টির সম্মুখীন নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক ও বিপর্যয়কর ক্ষতির কথা তুলে ধরেছে। তারা অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং শিশুর খাবারের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে। ইসরায়েলের গাজায় সাহায্য পাঠাতে অব্যাহত অস্বীকৃতি ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের একটি আদেশকে লঙ্ঘন করে। সেই আদেশে দুর্ভিক্ষ ও অনাহার রোধে জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় সাহায্য পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) আগামী সপ্তাহে হেগে অনুষ্ঠিত গণশুনানির একটি সূচি প্রকাশ করেছে। সেখানে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ, এনজিওর কার্যকলাপকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের আইনি বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আগামী সোমবার শুরু হতে যাওয়া এ শুনানির আগে প্রায় ৪৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লিখিত বিবৃতি জমা দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, বুধবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ হাজার ৩০৫ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন আহত হয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
টিভিতে দেখা যাবে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’
ঈদ উল আযহার ৮ম দিনে আগামীকাল শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪। ১৯ তম এই আয়োজনে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন নজরুল সঙ্গীতের বিশিষ্ট শিল্পী ফেরদৌস আরা।
এ ছাড়াও সঙ্গীতের ১৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা, সঙ্গীতজ্ঞ শেখ সাদী খান, ইমপ্রেস চ্যানেল আই এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন, রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, শিল্পী রেবেকা সুলতানা, এম এ মান্নান, সালাউদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌস ওয়াহিদ, রফিকুল আলম, মো. খুরশীদ আলম, প্রকল্প পরিচালক রাজু আলীম সহ প্রবীন-নবীন তরুণ প্রজন্মের সব খ্যাতিমান শিল্পীরা। নুসরাত ইমরোজ তিশা রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দেন। তারপর একেএকে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শফী মন্ডল, ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাগর বাউল, কোনাল, তরিক মৃধা, শারমিন সহ সেরাকণ্ঠ ক্ষুদে গানরাজ এর শিল্পীরা। এতে ১৯ টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আধুনিক গান শ্রেষ্ঠ শিল্পী হয়েছেন কর্ণিয়া। ইউটিউবে কমপক্ষে ১লক্ষ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে আধুনিক গানের শ্রেষ্ঠ শিল্পী ক্যাটাগরীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী শারমিন রমা। আধুনিক গানে শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন মেহেদী। আধুনিক গানে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হলেন লালন লোহানী, শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড আর্টসেল, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আরিফ আল হক, শ্রেষ্ঠ দ্বৈত সঙ্গীত শিল্পী সাব্বির জামান ও আফরোজা রুপা, শ্রেষ্ঠ লোকসঙ্গীত শিল্পী [পল্লীগীতি ও মরমী] তরিক মৃধা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেনর। ইউটিউবে কমপক্ষে ১লক্ষ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে লোকসঙ্গীত ক্যাটাগরীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন সাব্বির নাসির।
ছায়াছবির গানে শ্রেষ্ঠ শিল্পী রিয়াদ চলচ্চিত্র ঈশ্বর, ইউটিউবে কমপক্ষে ১লক্ষ বার ভিউ এবং কমপক্ষে ১৫০০ লাইক প্রাপ্ত গান থেকে ছায়াছবির গান শ্রেষ্ঠ শিল্পী ক্যাটাগরীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছেন বালাম ও কোনাল চল”িচত্র প্রিয়তমা,। ছায়াছবির গানে শ্রেষ্ঠ সুরকার হয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ [চলচ্চিত্র ঈশ্বর] , ছায়াছবির গানে শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পেয়েছেন আসিফ ইকবাল [মেঘের নৌকা], শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও নির্মাতা হয়েছেন রেজাউল করিম কাজল[চুড়ির তালে নুরির মালা], শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও শিল্পী ফেরদৌস আরার গান [চুড়ির তালে নুরির মালা], শ্রেষ্ঠ নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ [কেনো চাঁদনী রাতে],শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী এটিএম জাহাঙ্গীর [যদি প্রেম দিলে না],শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী হয়েছেন অনিরুদ্ধ শুভ [ ভাল্লাগে না] , শ্রেষ্ঠ অডিও কোম্পানী ধ্রব মিউজিক স্টেশন।