ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) গত মাসে জাতীয় দলের কোচ ডোরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছে। এরপর আল হিলালের ম্যানেজার হোর্হে হেসুসকে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেছিল সবাই।

তবে বারাবরের মতো আবারো গুঞ্জন উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে। ইএসপিএন তাদের একটি সূত্রের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে আবারও ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের শূন্য পদে নিয়োগ পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী আনচেলত্তি।

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে আনচেলত্তির। তবে ২০২২ বিশ্বকাপ শেষে তিতে পদত্যাগ করার পর থেকেই এই ইতালিয়ান কোচ সিবিএফ সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেসের পছন্দের তালিকায় প্রথমে ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ফাইনালের আগে রিয়াল শিবিরে দুঃসংবাদ

বার্সার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমাল রিয়াল

যদিও আনচেলত্তি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি মাদ্রিদেই থাকতে চান। তবে আর্সেনালের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ৫-১ গোলে অ্যাগ্রিগেটে হেরে যাওয়ার পর তার চেয়ারটা নড়বড় হয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ এখনো লা লিগার শিরোপার দৌড়ে আছে। তবে তারা বার্সেলোনার থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। এদিকে মৌসুমে বাকি মাত্র পাঁচটি ম্যাচ।

স্প্যানিশা সংবাদ মাধ্যমের দাবি রিয়াল তাদের সাবেক ফুটবলার ও বর্তমানে বেয়ার লেভারকুসেনের কোচ জাভি আলোনসোকে সামনের মৌসুম থেকে ক্লাবের দায়িত্ব দিতে চান। এই স্প্যানিশের বিকল্প হিসেবে আছেন জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

সিবিএফ বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করবে শনিবারের কোপা দেল রে ফাইনাল। যেখানে এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার। এই ম্যাচে হারলে আনচেলত্তির বরখাস্তও হওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।

ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আনচেলত্তি সম্প্রতি বলেছেন, “এই মুহূর্তে বলার কিছু নেই। মৌসুম শেষে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ইএসপিনের মতে সিবিএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আনচেলত্তির ঘনিষ্ঠদের ইতিমধ্যে গত কয়েক সপ্তাহে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।

একজন এজেন্ট এবং দুই ব্রাজিলিয়ান মধ্যস্থতাকারী বর্তমানে মাদ্রিদে আছেন এবং প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠানোর পাশাপাশি আনচেলত্তির ছেলে ডাভিদের সঙ্গে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়া নিয়ে আলোচনা করছেন। সূত্রটি নিশ্চিত করেছে, রিয়াল মাদ্রিদে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বা আনচেলত্তি কেউই আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপে যাবে না।

অন্যদিকে সাবেক ফ্লামেঙ্গো কোচ হেসুস বর্তমানে আছেন আল হিলালের দায়িত্বে। সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে তিনি আগামী মাসে সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ব এফ

এছাড়াও পড়ুন:

ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি নিয়ে বিতর্ক: খাজার প্রশ্ন, জার্সি ঢাকতে বলাটা কি বৈধ

সর্বশেষ ৬ বছরে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে শুধু টেস্ট খেলারই সুযোগ পেয়েছেন উসমান। এই তথ্যে খাজার ব্যাটিংকে রক্ষণাত্মক মনে হতে পারে, তবে চিন্তা-ভাবনায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বেশ প্রতিবাদী। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট চলাকালীন ফিলিস্তিনের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় চাকরি হারান অস্ট্রেলিয়ার রেডিও স্টেশন এসইএনের সাংবাদিক পিটার লালোর। এর প্রতিবাদে খাজা  গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেরর সময় সেই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেননি। শুধু কী তা–ই, লালোর চাকরি হারানোর পর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খাজা তাঁর সমর্থনে ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছিলেন। এবার খাজা প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে বিতর্কিত এক ঘটনায়।

ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্ট গত রোববার ড্র হয়। এই ম্যাচের কোন দিন ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইএসপিএনক্রিকইনফো, তবে ক্রিকেটবিষয়ক এই ওয়েব পোর্টাল গতকাল জানায়, গ্যালারিতে পাকিস্তানের জার্সি পরে এসেছিলেন এক দর্শক। মাঠের নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে জার্সিটি ঢেকে ফেলতে বলেন। সেটি না করে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান সেই সমর্থক। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে কাউন্টি ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ার। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ল্যাঙ্কাশায়ারের ঘরের মাঠ।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, সেই দর্শকের নাম ফারুক নজর। গালফ নিউজ জানিয়েছে, ধর্মীয় একটি টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক তিনি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের সবুজ জার্সি পরে ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারিতে গিয়েছিলেন ফারুক নজর। শুরুতে মাঠের নিরাপত্তারক্ষীদের এক সদস্য ফারুককে জার্সি ঢেকে রাখার অনুরোধ করেন, ‘আমাকে কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, আপনি যদি ওই শার্টটা ঢেকে রাখতে পারেন, ভালো হয়।’ পরে আরেকজন স্টুয়ার্ড এসে বলেন, ‘জার্সিটা “জাতীয়তাবাদী” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’

জার্সি ঢেকে ফেলার নির্দেশ পাওয়ার প্রমাণ রাখতে ফারুক এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপার জানিয়েছে, জার্সি ঢাকার নির্দেশ পাওয়ার পর ফারুক নজর পাল্টা বলেন, ‘আপনারা কি লিখিত নির্দেশ দেখাতে পারেন? অর্থ খরচ করে টিকিট কিনেছি। এটা মেনে নিতে হলে আমার লিখিত (আদেশ) প্রয়োজন।’

আরও পড়ুনওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি পরা নিয়ে বিতর্ক, তদন্তে ল্যাঙ্কাশায়ার২৮ জুলাই ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানের জার্সি ঢাকার এই আদেশের ভিডিও ভাইরাল হতে দেরি হয়নি। খাজা সেই ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে পোস্ট করেন নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। সেখানে খাজা ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের নাম একপাশে রেখে বড় করে লেখেন, ‘এটা বৈধ হতে পারে না...?’

ওল্ড ট্রাফোর্ডে দর্শকের কমতি ছিল না

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লাস ভেগাসে হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বের ড্র
  • ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি নিয়ে বিতর্ক: খাজার প্রশ্ন, জার্সি ঢাকতে বলাটা কি বৈধ