‘মোর ৩ বছরের নাতিডার হারা গা (শরীর) খাউজায়। আইছিলাম হাসপাতালে ডাক্তার দেহাইতে। হারাদিন খাড়াইয়া থাইক্যাও ডাক্তার দেহাইতে পারি নাই। এহন চইল্যা যাই’– আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন কাঁঠালিয়া গ্রামের আছিয়া বেগম।
কোমর আর হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসার জন্য এসেছেন ঘোপখালী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আশ্রাব আলী। ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার তো দেহাইতে পারি নাই। হারাদিন খাড়াইয়া থাইক্যা আরও কোমর ব্যথা বাড়াইছি। এহন বাড়ি যাইয়া আল্লাডে কমু ক্যা মোগো গরিব বানাইছো।’
আমতলী পৌরসভার বাসুগী গ্রামের গৃহবধূ রুবিনা আক্তার এসেছেন জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ১৩ দিন বয়সী সন্তান ইছাকে নিয়ে। দু’দিন ঘুরেও ডাক্তার দেখাতে পারেননি। 
আমতলী উপজেলা হাসপাতালের এ রকম চিত্র প্রতিদিনের। আড়াই লাখ মানুষের জন্য এ হাসপাতালটিতে রোগী আছে; কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নেই। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) আছে, অবেদনবিদ ও শল্যচিকিৎসক নেই। চিকিৎসাসেবায় এই নেই আর নেই দিয়ে চলছে হাসপাতালটি। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

চিন্ময় হাওলাদার জানান, চিকিৎসক সংকট থাকায় জরুরি বিভাগ ওয়ার্ডসহ নানা দিক সামলাতে হচ্ছে। স্যাকমো, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সহায়তা নিতে হচ্ছে। সংকটের কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৩১টি পদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। এ হাসপাতাল ছাড়াও উপজেলা সদর ও কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর বাজারে একটি হাসপাতাল রয়েছে। আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে একটি করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হলদিয়া ইউনিয়নের সেনের হাটে একটি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসক রোকনুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন শত শত রোগী সামলাতে হিমশিম অবস্থা। রোগীদের কটু কথাও শুনতে হয় তাদের।
চিকিৎসক ছাড়াও এ হাসপাতালে প্রধান সহকারী, ক্যাশিয়ার ও অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের একটি পদ, পরিসংখ্যানবিদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব, ডেন্টাল ও ফিজিওথেরাপিস্টের একটি করে পদ শূন্য রয়েছে। চারজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, চারজন কার্ডিওগ্রাফার, একজন স্টোরকিপার, তিনজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সাতজন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ২৬ জন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন ড্রাইভার, একজন জুনিয়র মেকানিকের পদ শূন্য রয়েছে। ওয়ার্ডবয়, আয়া, মালি, বাবুর্চি, নিরাপত্তা প্রহরী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ৮৮ পদের মধ্যে ৫২টি পদে জনবল নেই। চতুর্থ শ্রেণির ৩৪টি পদের মধ্যে ১৬টি পদ শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে এসব পদ খালি থাকায় হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ রাখা যাচ্ছে না।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কথা স্বাস্থ্য মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা

বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।

এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’

প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’

রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
  • একাধিক সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • অস্ত্র দিয়ে ডাকাত তকমা, উদ্ধার করল নৌবাহিনী