এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ লাওস ও তিমুরলেস্তে। সোমবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সদর দপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এই ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূধর্ব-২০ নারী ফুটবলের মূল পর্ব শুরু হবে। স্বাগতিক থাইল্যান্ডসহ মূল পর্বে অংশ নেবে ১২ দল। ৩৩ দল ২ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাছাই পর্ব খেলবে। তাদের ৮ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ওই আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স-আপ মূল পর্বের টিকিট পাবে।

বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। যাদের জুনিয়র এএফসি কাপ জয়ের কীর্তি রয়েছে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে তারা মূল পর্বে যাওয়ার দাবিদার। বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নাও পারে লাওস ও তিমুরলেস্তেকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে রানার্স-আপ হয়ে মূল পর্বে যেতে পারবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র এএফস ম ল পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ