বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন
Published: 1st, May 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ইনাহ কানাবারো লুকাস মারা গেছেন। গত বুধবার তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর। ব্রাজিলের এই নারী ক্যাথলিক সন্ন্যাসী (নান) ছিলেন। দীর্ঘায়ু পর্যবেক্ষণ করে এমন দুটি সংস্থা কানাবারো সম্পর্কে এসব তথ্য জানিয়েছে।
কানাবারো শৈশবে একবার প্রায় মারা যেতে বসেছিলেন। সেই যাত্রায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় তিনি ঈশ্বরের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ ছিলেন।
কানাবারোর মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তির তকমা পেয়েছেন এথেল ক্যাটারহ্যাম। ইংল্যান্ডের সারে অঞ্চলের এই বাসিন্দার বর্তমান বয়স ১১৫ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের জেরন্টোলজিক্যাল রিসার্চ গ্রুপ (জিআরজি) এবং লংজেভিকোয়েস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে।
কানাবারো ১৯০৮ সালের ৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু ব্যক্তি ছিলেন তোমিকো ইতোকা। জাপানের এই নারী ১১৬ বছর বয়সে গত জানুয়ারিতে মারা যান।
দ্য কংগ্রেগেশন অব টেরেসিয়ান সিস্টার্স অব ব্রাজিল বুধবার কানাবারোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জীবনের প্রতি ‘উৎসর্গ ও ভক্তি’ দেখানোর জন্য কানাবারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
এক শোকবার্তায় লংজেভিকোয়েস্ট জানায়, কানাবারো ছোটবেলায় রোগা ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ‘অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন’।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ১৯৩৪ সালে ২৬ বছর বয়সে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেছিলেন কানাবারো। নিজের দীর্ঘায়ু সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরই জীবনের গোপন রহস্য। সবকিছুর রহস্য তিনিই।’
১১০তম জন্মদিনে সদ্য প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকে আশীর্বাদ পেয়েছিলেন কানাবারো। পোপ ফ্রান্সিস গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান।
কানাবারো দাবি করতেন, তাঁর জন্মতারিখ ১৯০৮ সালের ২৭ মে। কিন্তু জিআরজি পরিচালক রবার্ট ইয়াং জানিয়েছে, তাঁর নথিভুক্ত জন্মতারিখ ১৯০৮ সালের ৮ জুন।
লংজেভিকোয়েস্টের তথ্যমতে, ইনাহ কানাবারো ইতিহাসে নথিভুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৫তম। ফ্রান্সের লুসিল র্যান্ডনের পর তিনি দ্বিতীয় বয়স্কতম সন্ন্যাসী। লুসিল ২০২৩ সালে ১১৮ বছর বয়সে মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল