৫ তরুণের ৫ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চরকিতে
Published: 2nd, May 2025 GMT
তরুণ নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। ভিন্ন ভাবনা ও নির্মাণের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে পাঁচজন তরুণ নির্মাতার পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো- আহসান স্মরণ নির্মিত ‘আকাশে’, আবীর ফেরদৌস মুখর পরিচালিত ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’, মাহমুদুল হাসান আদনানের ‘দ্য স্কাই গেটস গ্লুমি অ্যাট নাইট’, মাহমুদ হাসানের ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’ এবং নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদের ‘শব্দের ভেতর ঘর’।
প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেদওয়ান রনি বলেন, ‘‘সাধারণত দেখা যায় তরুণদের বানানো শর্টফিল্মগুলো চলচ্চিত্র উৎসবকেন্দ্রিক হয়ে থাকে বা নির্দিষ্ট কিছু দর্শক–শ্রেণির মধ্যে প্রদর্শন করতে হয়। এরপর সেগুলো আর দেখানোর বা দেখার উপায় থাকে না। সেই সুযোগ তৈরি করতেই চরকির এই উদ্যোগ।’’
আরো পড়ুন:
প্রথম দিনে কত আয় করল অজয়ের সিনেমা?
শ্রমিক দিবসে কাদের শ্রদ্ধা জানালেন শাকিব?
চরকির লিড বিজনেস অ্যান্ড গ্রোথ ফয়সাল রহমান বলেন, ‘‘তরুণদের উৎসাহ এবং কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি আমরা নতুন দর্শক তৈরি করতে চাই। তরুণ নির্মাতা ও কলাকুশলীদের নিয়ে এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’
চরকির ক্রিয়েটিভ প্রডিউসার আল–আমিন হাসান নির্ঝর জানান, অনেকগুলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে ভিন্ন ধরনের গল্প, নির্মাণশৈলীর পাঁচটি শর্টফিল্ম তারা বাছাই করেছেন। এরই মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে শর্টফিল্মগুলোর টিজার। মন্তব্যের ঘরে দর্শকেরা জানিয়েছেন ভালো লাগার কথা এবং শুভকামনা।
‘আকাশে’ শর্টফিল্মটি ড্রামা, কমেডি ঘরানার। যার কাহিনি নুরুদ্দীন নামের এক তরুণের আকাশে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। এর নির্মাতা আহসান স্মরণ বলেন, ‘‘আমার ফিল্ম আকাশে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে, এর চেয়ে আনন্দের আর কোনো সংবাদ আমার কাছে নেই। চরকির এই উদ্যোগকে সম্মান জানাই। এটা আমার মতো অনেক নতুন ফিল্ম মেকারকে বড় কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’
‘সুব্রত সেনগুপ্ত’ শর্টফিল্ম নির্মিত হয়েছে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের চিত্রনাট্য অবলম্বনে।
নির্মাতা আবীর ফেরদৌস মুখর বলেন, ‘‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিল কিছুদিন তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টে কাজ করার। সেখানেই প্রথম এই চিত্রনাট্যের সঙ্গে পরিচয়। ক্যাথরিন মাসুদের অনুমতিতে আমরা এই কাজ শুরু করি। মূল চিত্রনাট্যের আবহ বজায় রেখে আমরা আমাদের ভাবনা যোগ করেছি।’’
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পরিবার, সমাজ, প্রেম, ধর্ম, রাজনীতির মতো বিভিন্ন কারণ কীভাবে সুব্রত সেনগুপ্তর জীবনকে প্রভাবিত করেছিল, তা ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয় এ শর্টফিল্মে।
ড্রামা ঘরানার শর্টফিল্ম ‘দ্য স্কাই গেটস গ্লুমি অ্যাট নাইট’। এর নির্মাতা মাহমুদুল হাসান আদনান বলেন, ‘‘বানানোর প্রায় তিন বছর পর আমার কাজ ‘দ্য স্কাই গ্লুমি অ্যাট নাইট’ চরকির মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছাতে যাচ্ছে। যা আমার জন্য বড় আনন্দের মুহূর্ত। আমার এই ছবির রিলিজ আমাকে পরবর্তী ছবির দিকে নিয়ে যাবে, এই আশা রাখি।’’
অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল ও বিশ্বাসঘাতকতার জেরে বিভার ব্যক্তি, পরিবারিক ও সামাজিক জীবনে নেমে আসে নির্মম বাস্তবতা। সেখান থেকে পুনরারম্ভ করার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’।
এর নির্মাতা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘‘দর্শকের সামনে আমার প্রথম সন্তানের মুখ দেখানোর দায়িত্ব চরকিকে দিতে পেরে আমি বেশ নিশ্চিন্ত বোধ করছি।’’
‘শব্দের ভেতর ঘর’–এর কাহিনি গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব ও স্বপ্ন–বাস্তবতার কঠিন লড়াইয় নিয়ে। এর নির্মাতা ফুয়াদ বলেন, ‘‘আমাদের এই জার্নি মূলত উপকূলীয় অঞ্চলের, যেখানে আমরা বলতে চেয়েছি, যে সমুদ্র আমাদের জীবন বাঁচায়, সেই সমুদ্র আমাদের জীবন গ্রাস করে। আমাদের সিনেমা চরকিতে রিলিজ হয়েছে এবং আমার কাছে মনে হয় চরকি বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নতুন এক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।”
ঢাকা/এস/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র এর ন র ম ত ব স তবত আম দ র চরক ত চরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই দেশ শাসন করবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা গণঅভ্যুত্থানের অংশিদার অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট লক্ষ্য করছি। আমরা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে কোথাও চাঁদাবাজি, দখলবাজি রাজনৈতিক দুবৃত্তায়ন বন্ধ হয়নি। যারা ভাবছেন ভোট কেন্দ্র দখল করে, ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরবেন- তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীতে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নেতা বানাবে, জনপ্রতিনিধি বানাবে, জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই দেশ শাসন করবে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে সচেতন করা। পরিবর্তনের যে ডাক গণঅধিকার পরিষদ দিয়েছে সেই বার্তা জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’
শুক্রবার বিকেলে বিসিক এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘যে যত বড়, তার দাায়িত্ব তত বেশি। যে বড় জায়গায় আছে, তার তত বেশি কাজ করার সুযোগ আছে।’ তিনি বড় রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদি হাসিনার পতনের পর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জনগনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সকলকে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে হবে। কিন্তু কোনো দল যদি মনে করে আমরা একাই একশ, আমরা একাই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করব, আমারই সব হতাকর্তা- তাদেরকে বলব আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নেন। এই দেশের মানুষ কাউকে পরোয়া করে না। বিগত ১৬ বছরের হাসিনার দানবীয় শাসন হটাতে এই দেশের ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রাজপথে বুক পেতে দিয়েছে। আগামীতে নতুন করে তারা এই দেশে কোনো ফ্যাসিবাদ তৈরি হতে দেবে না।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব আধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বির হোসেন রাজের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও মুখপত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, আবুল খায়ের শান্ত, জেলা গণআধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিয়ান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন আহমেদ জয়সহ অনেকে।