২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি পর্ব জোরালো করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলটি এবার ছুটছে এশিয়া ও আফ্রিকার পথে—আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার লক্ষ্যে। এই সফরে দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিও অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আর্জেন্টিনার ক্রীড়ামাধ্যম ‘ওলে’ ও ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’-এর বরাতে জানা গেছে, আগামী অক্টোবর মাসে ফিফার আন্তর্জাতিক সূচির ফাঁকে চীন সফরে যাবে আর্জেন্টিনা দল। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যদিও এখনও নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে চীন ছাড়াও আরও একটি আমন্ত্রিত দলের কথা বিবেচনায় রয়েছে।

চীনে ম্যাচ শেষে নভেম্বরে দলের পরবর্তী গন্তব্য আফ্রিকা। অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১ নভেম্বর দেশটির বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টাইনরা। এই প্রীতি ম্যাচটি ঘিরে সম্প্রতি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং অ্যাঙ্গোলা ফুটবল ফেডারেশনের (এফএএফ) কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি

দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা

সেই আলোচনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া। তিনি ফোনে কথা বলেন লিওনেল মেসির সঙ্গেও। মেসি স্মরণ করেন, ২০০৬ সালে ইতালির মাটিতে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে তাঁর প্রথম ম্যাচের কথা, যেখানে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছিল ২-০ গোলে।

অ্যাঙ্গোলার ম্যাচ শেষেই দলের পরবর্তী গন্তব্য কাতার—সেই মাঠ, যেখানে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। কাতার সফরেও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে, যদিও প্রতিপক্ষ এখনও নিশ্চিত নয়।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের এখনও বাছাইপর্বে চারটি ম্যাচ বাকি আছে—চিলি, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে, যেগুলো অনুষ্ঠিত হবে জুন ও সেপ্টেম্বরে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ও দলকে আরও পরিপক্ব করে তুলতেই এই ভিন্ন মহাদেশের সফর পরিকল্পনা করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। স্রেফ মাঠের অনুশীলন নয়, বাস্তব ম্যাচ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই দলটিকে ভবিষ্যতের বড় মঞ্চের জন্য প্রস্তুত করতে চায় কোচ স্কালোনি ও তার টিম।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ, গবেষণার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রে

গ্লোবাল চায়না ইনিশিয়েটিভ ‘গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬’-এর আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। বোস্টন ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের অধীনে এটি পরিচালিত হয়। ২০১৭ সালে শুরু হওয়া এই ফেলোশিপ এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জনেরও বেশি প্রি–ডক্টরাল ও পোস্টডক্টরাল গবেষককে সহায়তা করেছে।

ফেলোশিপের মেয়াদ ও সুবিধা

গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬–২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রদান করা হবে। নির্বাচিত ফেলোরা প্রতিযোগিতামূলক স্টাইপেন্ড (ভাতা) পাবেন, যা তাদের মাঠপর্যায়ের গবেষণা, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ ও পেশাগত উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়তা করবে।

অংশগ্রহণকারীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা জিডিপি সেন্টারের চলমান গবেষণা প্রকল্পে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া আরও ২০ ঘণ্টা স্বাধীনভাবে গবেষণায় করতে পারবেন। প্রত্যেক ফেলোকে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে কাজ করতে হবে এবং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অন্তত একটি ওয়ার্কিং পেপার প্রকাশ করতে হবে।

গবেষণা, কনফারেন্স ও প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সহায়তা থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিএএফ শাহীন কলেজে ২০২৬ সালে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি
  • গ্লোবাল চায়না ফেলোশিপ, গবেষণার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রে
  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি