মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ঠান্ডা মিয়াকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার দুপুরে রংপুর র‌্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল গাইবান্ধা সদরের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে কবির আলম (৪০), আসলাম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাহপুরের আনিছুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) ও মোসলেম উদ্দিন মণ্ডলের  ছেলে রাশেদ মণ্ডল (৪২)। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 

অধিনায়ক জয়নুল আবেদীন জানান, গত ২৫ এপ্রিল গাইবান্ধায় মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ঠান্ডা মিয়াকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন পিডিবি নেসকো-১ অফিসের গেটের পাশে ফেলে রেখে অটো মিশুকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
 
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই র‌্যাব-১৩ এর একাধিক টিম ছায়া তদন্তে নামে এবং ঘটনায় জড়িতদেরকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্নস্থান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তারের সময় ছিনতাই করা মিশুকটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এই হত্যা মামলায় গত ২৭ এপ্রিল অন্যতম অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ শ্রমিক লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেম দেওয়ানের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ান (৫৩), মৃত ইদ্রিস আলী দেওয়ানের ছেলে দাদন দেওয়ান (৫০), সোবাহান মল্লিকের ছেলে ও কাঁচিকাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিতু মল্লিক (৫০) এবং চরভাগা ঢালী কান্দি এলাকার আব্দুর রব সরকারের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আল আমিন সরকার (৪৮)। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুলারচর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসাচ্ছে একটি চক্র। শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য শফি দেওয়ানের বাড়িতে জুয়ার আসর বসলে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সখিপুর থানায় মামলা শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আরো পড়ুন:

২০ শতাংশ শুল্ক দেশের জন্য ভালো খবর: ফখরুল

আ.লীগের নির্যাতন দেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না: দুলু  

দুলারচর এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, ‍“প্রতিদিন রাতে এলাকায় জুয়ার আসর বসত। আমরা অনেকবার বলেছিলাম, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সবাই ভয় পায়। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক এবং আগামীতে এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।”

অপর বাসিন্দা রহিম দেওয়ান বলেন, “এরা দিনের বেলায় রাজনীতির নামে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন আর রাতে জুয়া খেলে সমাজকে নষ্ট করেন। আমরা বিষয়টি অনেক আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি, এই এলাকা থেকে জুয়ার সবকয়টি আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়।”

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াল্লেম বেপারি বলেন, “জিতু মল্লিক ও আল আমিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি বিষয়টি জেনেছি। জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধি। এতে যেই জড়িত থাকুক, প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া। আমি থানা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।”

সখিপুর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।”

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি ও শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪