কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমানে (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী সোমবার (৫ মে) ওই বিমানে করে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল। তবে খালেদা জিয়া সোমবার কখন দেশে ফিরবেন, সেটা এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে জানান তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) গেছেন, কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সময়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। যখনই নিশ্চিত হব, আবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’

এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমানও দেশে আসছেন।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান দিয়েছেন। ওই বিশেষ বিমানে (বিশেষ ধরনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) করে তিনি লন্ডনে যান।

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন তাঁকে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অত্যন্ত শৃঙ্খলাসহকারে যানজট সৃষ্টি না করে রাস্তার দুই ধারে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নেতা-কর্মীরা এক হাতে জাতীয় পতাকা, আরেক হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার মাস পর চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। স্বাভাবিকভাবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগ আছে। তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশের মানুষ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আছে। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জনগণ যেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন মির্জা ফখরুল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ফ রব ন ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেছেন, ‘‘একটি নির্বাচিত সরকার না থাকায় সরকার এবং জনগণের মধ্যে যে সেতুবন্ধন সেটা সৃষ্টি হয়নি। যে কারণে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘শুধু দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী নয়, সবাই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছে; নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় আছেন। নির্বাচনের পর বড় আকারে আমাদের অর্থনীতির পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি হবে।’’

বুধবার (১ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রনদা প্রসাদ সাহা দুর্গামন্দির পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘‘আমরা অনেক বড় কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি। নির্বাচনে যদি জনগণ আমাদের রায় দেন, কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। সেই পরিকল্পনা ইতিমধ্যে করা হয়েছে।’’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই: রাশেদ খান
  • ছুটোছুটির মধ্যে কাটছে মিমের পূজা
  • প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছে: ফারুক
  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • ১৭ বছর এক অসুর জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল: নিপুন রায় 
  • নির্বাচিত সরকার না থাকায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি: আমীর খসরু
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক