সংস্কারের কথা প্রথম বলেছে বিএনপি: নওশাদ জমির
Published: 3rd, May 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেছেন, “সংস্কারের কথা প্রথম বলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। রাষ্ট্র মেরামতের যে কথাগুলো সেগুলো ২০১৪ সালে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন। ২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহারেও তা ছিল। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্র সংস্কার আটকে থাকবে না, বরং আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”
শনিবার (৩ মে) বিকেলে সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরের মুক্তমঞ্চে পঞ্চগড় সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রথম অধিবেশনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নওশাদ জমির বলেন, “নির্বাচনের কথা বললেই আমাদের দোষ দেওয়া হয়। অথচ একটি চূড়ান্ত বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করেন, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের মতামত জানাতে পারেন। বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল, গণতন্ত্রের দল।”
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ
জনগণের অনুমতি ছাড়া করিডোর নয়: টুকু
তিনি আরো বলেন, “বিএনপির অগ্রযাত্রাকে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে একটা ফ্যাসিস্ট দল বারবার পিছিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের আর জায়গা দেবে না। এটাই আমাদের প্রত্যয়।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “১৯৭৫ সালে অভ্যুত্থান না হলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই দেশের জনগণ মাঠে নেমে তৎকালীন সরকারকে দেশ ছাড়া করত। ২০২৪ সালে একই ঘটনা ঘটেছে। সারা পৃথিবীতে সব বিপ্লবকে সাধারণ জনতা সাফল করেছেন। ২০২৪-এর বিপ্লবও কারো একার নয়। আমরা ২০২৪-এর বিপ্লবে শহীদ এবং আহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।”
এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৮ মাসে দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে এই সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় বহু সাংবাদিককে সরাসরি নিশানা করে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ২০২৫ সালের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে আরএসএফ। সংস্থাটি সেখানে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রথম ১৮ মাসেই ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে দুই শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এসব সাংবাদিকদের মধ্যে অন্তত ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়।
প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজা উপত্যকায় আটকে পড়া সাংবাদিকেরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। খাদ্য, পানিসহ সবকিছুরই চরম সংকটে রয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া দখলকৃত পশ্চিম তীরে সাংবাদিকেরা নিয়মিত ইসরায়েলি বাহিনী এবং সেখানে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে হয়রানি ও হামলার শিকার হচ্ছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
শুধু ইসরায়েলি বাহিনী নয়, গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদও সেখানে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে আরএসএফ। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের করা সাইবার অপরাধ আইনও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আরএসএফের করা এবারের গণমাধ্যম স্বাধীনতার সূচকে ফিলিস্তিনের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম। এই সূচকে ২০২৪ সালের তুলনায় ছয় ধাপ অবনমন ঘটেছে ফিলিস্তিনের। সংস্থাটি বলছে, এবার তালিকায় থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১২টি দেশেই গণমাধ্যম স্বাধীনতায় অবনতি ঘটেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে গড় নম্বর কমেছে ৫৫ পয়েন্ট, যা সূচকটি প্রকাশ করার পর থেকে সর্বনিম্ন।
গাজায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) দ্বারস্থ হয়েছে আরএসএফ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় সাংবাদিকদের ওপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক এই আদালতে একাধিক অভিযোগ দাখিল করেছে সংস্থাটি।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় সাংবাদিক নিহতের পৃথক একটি হিসাব দিয়েছে ফিলিস্তিন সরকারের গণমাধ্যম ব্যুরো। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শুধু ২০২৪ সালেই দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।