‘স্বপ্ন নিয়ে’র উদ্যোগে আরও ২৫ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন
Published: 4th, May 2025 GMT
দীর্ঘদিন লাঠি, ক্রাচ, কিংবা বাঁশের সাহায্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিলেন বিভিন্নভাবে পা হারানো অসহায় ২৫ ব্যক্তি। বিত্তবানদের সহযোগিতা নিয়ে এই অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন নিয়ে’।
সংগঠনটির উদ্যোগে গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত কৃত্রিম পা, হাত ও ব্রেইস সংযোজন কেন্দ্র ‘ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশে’ ২৫ জনের কৃত্রিম পা সংযোজনের কার্যক্রম শুরু হয়। পা সংযোজন ও ১১ দিন প্রশিক্ষণ শেষে আজ রোববার তাদের কৃত্রিম পা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান, ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশের পরিচালক মো.
কৃত্রিম পা লাগানো প্রসঙ্গে ‘স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, ‘আমরা প্রায়ই আমাদের চারপাশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় মানুষ দেখে থাকি। আমরা স্বপ্ন নিয়ের মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় আজকের ২৫ জনসহ মোট ১৫২ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবার যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এসব মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিৎ। পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় ও গরিব মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসার পাশাপাশি যেন গতির সঞ্চার হয় এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন আরও সহজ ও সুন্দর হয়; সে লক্ষ্যেই ‘স্বপ্ন নিয়ে’ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জন র ক স য জন অসহ য
এছাড়াও পড়ুন:
পরীক্ষায় অংশ নিলেন জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী মো. আদনান সাইফ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ রোববার তৃতীয় বর্ষের ‘নিউক্লিয়ার ফিজিকস’ কোর্সের পরীক্ষায় ‘রিপিটার’ হিসেবে অংশ নেন তিনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই বহিষ্কারের আওতায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ নম্বর তালিকায় মো. আদনান সাইফের নামও আছে।
বহিষ্কারের পরও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হল রুমে ঢুকে দেখি এই লোক (সাইফ) পরীক্ষা দিতে এসেছেন। বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর। আমাদের ডিপার্টমেন্টের কিছু শিক্ষার্থী আছে, যারা ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পার পেয়ে যাওয়া মানে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা। তাঁরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছেন, প্রশাসন জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও একটি অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এভাবে বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রতায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সুযোগ পাচ্ছেন। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে ছাত্রলীগ ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, যা জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।
জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তাঁর বহিষ্কারের বিষয়ে জানি না। প্রশাসন থেকে বিভাগের সভাপতি বরাবর চিঠি আসে। বিভাগের সভাপতি ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়ে আমাকে অবগত করেননি।’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী (সাইফ) পরীক্ষা দিয়েছে কি না বলতে পারব না। তবে আজ সকালে ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর সহপাঠীরা মিলে আমার কাছে আসছিল। সে হামলাকারী না বলে জানায় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে অংশগ্রহণ করেছিল, এমন ছবিও আমাকে দেখিয়েছে। সঙ্গে একটি অ্যাপ্লিকেশনও দিয়েছে। আমি সেগুলো উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’