দীর্ঘদিন লাঠি, ক্রাচ, কিংবা বাঁশের সাহায্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিলেন বিভিন্নভাবে পা হারানো অসহায় ২৫ ব্যক্তি। বিত্তবানদের সহযোগিতা নিয়ে এই অসহায় ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন নিয়ে’।

সংগঠনটির উদ্যোগে গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত কৃত্রিম পা, হাত ও ব্রেইস সংযোজন কেন্দ্র ‘ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশে’ ২৫ জনের কৃত্রিম পা সংযোজনের কার্যক্রম শুরু হয়। পা সংযোজন ও ১১ দিন প্রশিক্ষণ শেষে আজ রোববার তাদের কৃত্রিম পা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান, ইজি লাইফ ফর বাংলাদেশের পরিচালক মো.

মনিরুল ইসলাম, স্বপ্ন নিয়ে’র পরিচালক (প্রশাসন) মীর তানভীর আহমেদ, পরিচালক (পরিকল্পনা) আরাফাত হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ইলিয়াস হোসেন, সদস্য সাকিব হাসান, সুজন মোল্লা প্রমুখ।

কৃত্রিম পা লাগানো প্রসঙ্গে ‘স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, ‘আমরা প্রায়ই আমাদের চারপাশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় মানুষ দেখে থাকি। আমরা স্বপ্ন নিয়ের মাধ্যমে সবার সহযোগিতায় আজকের ২৫ জনসহ মোট ১৫২ জনের কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবার যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এসব মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিৎ। পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় ও গরিব মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসার পাশাপাশি যেন গতির সঞ্চার হয় এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন আরও সহজ ও সুন্দর হয়; সে লক্ষ্যেই ‘স্বপ্ন নিয়ে’ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জন র ক স য জন অসহ য

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালি

৩৬ জুলাই বিপ্লবের ঐতিহাসিক বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় র‌্যালি করেছে জাতীয় যুবশক্তি, নারায়ণগঞ্জ জেলা। জাতীয় যুবশক্তি'র কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে এই বিজয় র‌্যালির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক বিজয়কে উদযাপন করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বিজয় র‌্যালি নগরীর চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। পরে চব্বিশের সকল শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সর্বশেষ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে বিজয় র‌্যালির উদযাপন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। 

এ সময় নিরব রায়হান বলেন, গত ৫ই আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হয়। বাংলার ইতিহাস মুক্ত হয় এক কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে। এই দিনটি মুক্তিকামী সকল দেশপ্রেমী মানুষের কাছে অত্যন্ত খুশির একটি দিন। যা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।

যে স্বাধীনতা অর্জন কোনোভাবেই সহজ ছিলো ন্া। ৪ বছর বয়সের শিশুরও দিতে হয়েছে জীবন। ছাদে খেলতে যেয়ে আমাদের ৬ বছরের রিয়া গোপও হারিয়েছেন তাঁর প্রাণ। এই প্রাপ্তির স্বাধীনতাকে আমরা উদযাপন করছি স্বগৌরবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্মরণ করছি, সেইসব শহীদদের যারা জীবন বাজি রেখে এই দিনটি এনে দিয়েছেন৷ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সেইসব আহত যোদ্ধাদের প্রতি—যাদের অঙ্গহানির মাধ্যমে এই বিজয় এসেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ