Prothomalo:
2025-06-21@07:48:09 GMT

ম্যাশআপে বাজিমাত পারভেজের

Published: 5th, May 2025 GMT

পারভেজ সাজ্জাদের সন্তান আকাইদ সাজ্জাদ, মা–বাবা তাঁকে শ্রেষ্ঠ নামে ডাকতেন। গত জুনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শ্রেষ্ঠর মা অভিনয়শিল্পী সীমানা। এর পর থেকে বাবা পারভেজের অধিকাংশ সময় সন্তানের সঙ্গে কাটে। স্টেজ শো, গানের রেকর্ডিং বা বিশেষ কোনো কাজ ছাড়া বাসার বাইরে যান না। মাঝেমধ্যে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েও রেকর্ডিং স্টুডিওতে যান। ছেলে তার দাদি এবং দুই ফুফুর ‘জানের জান’, ‘কলিজার টুকরা’ উল্লেখ করে পারভেজ বলেন, ‘আমার ছেলেটা মা হারানোর দুঃখ আজীবন বয়ে বেড়াবে। আমি মনে করি, বাবার না থাকা কিছুটা হলেও পূরণ করা যায়; কিন্তু মায়ের অপূর্ণতা কোনোভাবেই পূরণ হয় না।’
ছেলের মায়ের মৃত্যুর পর জীবন অনেকটাই বদলে গেছে, জানালেন এই গায়ক। পারভেজ বলেন, ‘জীবন চলবে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যেখানে পছন্দের কোনো অপশন নেই। এই জীবনও ভালো। ২৪ ঘণ্টা ছেলেটা আমার চোখের সামনে আছে, এটা খুবই স্বস্তির বিষয়। তবে ওর কষ্টটা যখন দেখি, তখন তা আমাকে হার্ট করে। ভাবতে থাকি, ও তো এ রকম জীবন প্রাপ্য ছিল না। এই বয়সেও আমার মা আছে। কোনো কষ্ট বা অন্য কোনো অনুভূতি, আনন্দের কথা শেয়ার করার জন্য মায়ের নম্বরে প্রথম ডায়াল করি। কিন্তু আমার ছেলেটার চিন্তার জায়গাটাই শেষ হয়ে গেল। মা না থাকাটা কত বড় অভাব, কল্পনাও করতে পারি না। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই বন্ধুর মতো। আমরা একসঙ্গে স্কুল থেকে যাওয়া–আসার সময় নানা বিষয়ে কথা বলি। বন্ধুত্বের জায়গা ডেভেলপ করে নিয়েছি। ওর মা বেঁচে থাকার সময়েও করেছি।

সবকিছুর পরও বিরাট শূন্যতার জায়গা রয়েছে। একটা বাচ্চাকে যখন তার মা আদর করে, তখন দেখি সে তাকিয়ে থাকে। আনমনা হয়ে যায়। বেশির ভাগ সময় আমাকে বলে না। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই বয়সে কষ্ট লুকানো শিখে গেছে, যেটা একজন বাবা হয়ে সহ্য করা যায় না।’

১৫০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে
বিজয় সরকারের ‘তুমি জানো না রে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা’, হাসন রাজার ‘সোনা বন্দে আমারে দিওয়ানা বানাইল’, ‘লোকে বলে’, শাহ আবদুল করিমের ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘কেমনে ভুলিব আমি’, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘আছেন আমার মোক্তার’, মুজিব পরদেশীর ‘আমার সোনা বন্ধু রে’, ‘সোনা দিয়া বান্ধাইয়াছি ঘর’, নজরুল ইসলাম খানের ‘দয়াল বাবা কেবলা কাবা’, আলাউদ্দিন বয়াতির ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’—এই ১০টি গানের সংকলনে বাংলা ফোক ম্যাশআপ করেছিলেন ডিজে রাহাত, যেটিতে কণ্ঠ দেন পারভেজ সাজ্জাদ। পাঁচ বছর আগে প্রকাশিত সে গানটি সম্প্রতি দেড় শ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে। ১০ লাখ লাইক পড়েছে এবং মন্তব্য জমা পড়েছে ৪৪ হাজারের মতো। এটাকে অনেক বড় অর্জন মনে করছেন পারভেজ। কেননা বাংলা লোকগানের কোনো ম্যাশআপে এত বেশি সাড়া পড়েনি।

কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, প্রথমত গানগুলো খুবই চেনা। সংগীতায়োজনে একেবারে আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল। গায়কিতে ঐতিহ্যের ছাপ ছিল। প্রচলিত গায়কির সঙ্গে সংগীতের আধুনিকতা চমৎকারভাবে ব্লেন্ড হওয়ার কারণে ট্র্যাকটাকে সবাই এভাবে ভালোবেসেছে। তা ছাড়া লোকগানের আবেদন সর্বজনীন। এ গানটি আমি বাজতে শুনেছি ইউকে, থাইল্যান্ড ও ভারতের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবে। গানটিতে নতুন ধরনের সাউন্ড ডিজাইন পেয়েছেন মানুষ।’

পারভেজ সাজ্জাদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতায় বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে সুশাসন ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশকে বাজট সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির টেকসই বিকাশের জন্য সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনার উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ। সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্মুক্ত ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে তারা জনগণের সেবা আরও ভালোভাবে করতে পারে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে যাতে একটি শক্তিশালী, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তোলা যায়। গত সপ্তাহে অনুমোদিত আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সরকারকে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করছি।

এতে বলা হয়, এই অর্থায়ন আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে আর্থিক প্রতিবেদনের সমন্বয় সাধন এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্পোরেট গভর্নেন্স এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামোকেও শক্তিশালী করবে। এটি ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্পূর্ণ সমাধান ক্ষমতা প্রদান করে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অথায়ন সরকারি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা উন্নত করবে। ২০২৭ সালের মধ্যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প মূল্যায়ন নথি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও দুর্নীতির ঝুঁকি কমাতে পাবলিক ক্রয় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় (ই-জিপি) ব্যবহার, সুবিধাভোগীর মালিকানা প্রকাশ এবং মূল্যসীমা অপসারণ করতে হবে। পাবলিক সেক্টরে আর্থিক জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা উন্নত করার জন্য নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক কার্যালয়ের নিরীক্ষা ক্ষমতা জোরদার করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য স্বচ্ছতা উন্নত করবে যার ফলে নাগরিকদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত হবে। 

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ধ্রুব শর্মা বলেন, এই অর্থায়ন নাগরিকদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আকাঙ্খার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও শাসনব্যবস্থা এবং সরকারি খাতের কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্খী সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ