ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ, সোয়া ঘণ্টা পর সচল
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সোয়া ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জব্বারের মোড়ে রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন রেললাইন অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এতে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ফাতেমানগর ও ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ময়মনসিংহে আটকে ছিল। অবরোধের কারণে ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে সোয়া ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল সচল রয়েছে।”
ঢাকা/মিলন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট হাসান তুহিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে রাঙামাটির কাউখালী থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার বিপি নম্বর ৯৪১৪১৭১২০৯।
অভিযুক্ত তুহিন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী হোসনা বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরো পড়ুন:
৭১-এর মতো ২৪-এ বুক পেতে দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী: হাফিজ
মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে হোসনা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তুহিনের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদানের সময় তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ নোটারি পাবলিকে হলফনামা তৈরি করেন। এতে নিজেকে ওই মুক্তিযোদ্ধার দৌহিত্র পরিচয় দেন। পরে সেই নকল হলফনামা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধায় পুলিশে চাকরি নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হক বলেন, ‘‘তুহিন নামে আমার কোনো নাতি নেই। হলফনামায় দেওয়া স্বাক্ষরও আমার নয়। কে বা কারা প্রতারণা করেছেন, তাদের শাস্তি চাই।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে মোহনগঞ্জেই, সুনামগঞ্জে নয়।’’
অভিযোগকারী হোসনা বেগম বলেন, ‘‘তুহিন প্রতারণা করে আমার অজান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হকের সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন। তিনি আমার নানা নন।’’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন দাবি করেন, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। মনজুরুল হক আমার নানা, তার সনদেই চাকরি নিয়েছি। প্রতারণা করে থাকলে এতদিন চাকরিতে থাকা সম্ভব হতো না।’’
ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিসম্মত হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/ইবাদ/বকুল