সাবেক মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 7th, May 2025 GMT
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট রাতে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকার বাইপাস মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর ও ১৮ আগস্ট রাতে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৯০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ। পরে লাকসাম থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী মনির আহমেদ জানান, যখন হামলা হয় তখন মন্ত্রী এলাকায় ছিলেন না। তাই তার বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, বিপুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আজকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের শাহীন ও কাওছার আহমেদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম পর য় ন মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের হামলা: ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা
বিমান থেকে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি হিসেবে ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
বিবিসি লিখেছে, এর আগে বুধবার গভীর রাতে ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ছিল গত মাসে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জবাব।
হামলার পর ভারতের সামরিক বাহিনীর এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলা হয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার কয়েক মুহূর্ত পরই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথ সেনাবাহিনী প্রসংশা করে এক্সে পোস্ট দেন।
আরো পড়ুন:
ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও ১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
পাকিস্তানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে দিল্লি
পহেলগাম হামলার জন্য দিল্লি দায়ী করছে ইসলামাবাদকে; যদিও তারা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
গত কয়েক দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সরকার সাংবাদিকদের ভাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদ-সংলগ্ন এলাকায় ঘুরিয়ে দেখিয়েছে, যেগুলো পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতীয় হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
পাকিস্তান এই সফরের মাধ্যমে ভারতের দাবিকে খণ্ডন করতে চেয়েছিল, দেখাতে চেয়েছিল এগুলো জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির নয়।
এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার জানান, হামলায় ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে।
ভারত এখনো পাকিস্তানের এই দাবি সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাকিস্তান আরো দাবি করেছে, হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। অবশ্য, এই দাবির বিষয়ে ভারতও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভারতের হামলার জবাবে শিগগির প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি দিলেও পাকিস্তানের তরফে পাল্টা হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এই অবস্থায় ভারতজুড়ে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বেসামরিক পর্যায়ে যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা/রাসেল