শ্যামপুরের ডাইং বর্জ্য যাচ্ছে বুড়িগঙ্গায়
Published: 7th, May 2025 GMT
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামপুর অংশের ডাইং শিল্পের তরল বর্জ্য মিশে নদীর পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। বেশির ভাগ কারখানার বর্জ্য শোধনাগার নেই। তরল বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার বুড়িগঙ্গা নদীতে শ্যামপুরের কদমতলী শিল্প এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখা, ঢাকা গবেষণাগার এবং ঢাকা মহানগর কার্যালয়।
অভিযানের শুরুতেই কর্মকর্তারা নদীর তীরে একটি পাইপলাইনের মাধ্যমে দূষিত পানি সরাসরি বুড়িগঙ্গায় ফেলার দৃশ্য দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে সেই বর্জ্য পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। পরে দুটি ডাইং কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বন্ধ পাওয়া যায়। ময়লা পানি সরাসরি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। অভিযানের খবর জানার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি চালু করে। এ সময় নদীর পানির নমুনাও সংগ্রহ করেন কর্মকর্তারা।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্যামপুর অংশে ৪৯টি ডাইং ও ওয়াশিং কারখানা আছে। যেগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়মিতভাবে মনিটর করা না হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়বে। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।