চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পুরোনো সাদাকালো ছবি রঙিন করবেন যেভাবে
Published: 9th, May 2025 GMT
পুরোনো অ্যালবামের সাদাকালো ছবি রঙিন করতে এখন আর আলাদা কোনো সফটওয়্যার বা পেশাদার গ্রাফিকস ডিজাইনারের শরণাপন্ন হতে হবে না। চ্যাটজিপিটির ইমেজ প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই পুরোনো যেকোনো সাদাকালো ছবি রঙিন ছবিতে রূপান্তর করা সম্ভব। চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সাদাকালো ছবিকে রঙিন করার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সাদাকালো ছবিকে রঙিন করার জন্য প্রথমে চ্যাটজিপিটির চ্যাট উইন্ডোতে থাকা ছবির আইকনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট সাদাকালো ছবি আপলোড করতে হবে। এরপর চ্যাটজিপিটির ইমেজ টুলের মাধ্যমে ছবি বিশ্লেষণ করার পর রং যোগ করার জন্য এআই মডেলটিকে বিস্তারিত নির্দেশনা দিতে হবে।
বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ছবি আপলোড করার পর ‘প্রম্পট’-এ ছবির সময়কাল, পটভূমি, ছবি তোলার পরিবেশ, ছবিতে থাকা ব্যক্তির পোশাক, চোখের রং বা আবহ স্পষ্ট করে লিখতে হবে। প্রম্পটে যত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে, ছবিতে রং যোগ করার কাজ ততই নিখুঁত ও বাস্তবধর্মী হবে। প্রম্পট দেওয়ার কিছু সময় পর ছবিটি প্রক্রিয়াকরণ করে রঙিন করে উপস্থাপন করবে চ্যাটজিপিটি। এরপর ডাউনলোড করে ছবিটি ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লোকসানে বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ বন্ধ
বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’ লোকসানের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সিনেপ্লেক্সটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনেপ্লেক্সটির স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস রুবেল সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং বন্ধের কারণ জানান।
আরো পড়ুন:
কাজাখস্তানে আফরান নিশোর ‘দম’
আশির দশকের বাংলা সিনেমা ও সিনেমাকেন্দ্রিক সমাজ
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সিনেপ্লেক্স চালাতে গিয়ে সব মিলিয়ে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। কিন্তু সেটা তুলতে পারছি না দর্শকদের টানতে পারবে এমন সিনেমার অভাবে। 'তাণ্ডব’ সিনেমার পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি। অনেক ছবি মুক্তি পেলেও দর্শকের সাড়া মেলেনি। আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসত। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলত। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়। মূল কথা হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা আমাদের মতো করে চালাতে দিতে হবে।’’
রোকনুজ্জামান ইউনূস বলেন, ‘‘সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আমরা আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাদের কথা আপনারা শোনেন। আমাদের কথা যদি পছন্দ হয়, ভালো লাগে; তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। আমাদের কথা যদি অগ্রহণযোগ্য হয়, আমাদের বলে দেন; এটা হবে না। তাহলে আমরা আমাদের হল একেবারে বন্ধ করে দেব। আর যদি আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে এটি আমরা আরো সুন্দরভাবে করব এবং আমরা কথা দেব, মধুবনের মতো আরো ২০০ সিনেপ্লেক্স আমরা বাংলাদেশে তৈরি করব।’’
‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের’ স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘‘২০১৫ সালে শাকিব খানের ‘লাভ ম্যারেজ’ মুক্তির সময় ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার কামড়, গরমের মধ্যেও হলভর্তি দর্শক হয়। এরপর ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ প্রদর্শনের সময় শিক্ষিত শ্রেণির দর্শকের ঢল নামে। এমন পরিবেশেও দর্শকদের আগ্রহ দেখে সিনেপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০২১ সালে বগুড়ার প্রথম সিনেপ্লেক্স হিসেবে যাত্রা শুরু করে মধুবন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মধুবন সিনেপ্লেক্সের জন্য বেলজিয়াম থেকে ‘প্রজেকশন মেশিন’ আনা হয়। আমেরিকা থেকে ‘সাউন্ড সিস্টেম’ এবং মুম্বাই থেকে ‘গ্যালালাইট মেটাল কোডেড পর্দা’ আনা হয়। সেই সিনেপ্লেক্স আজ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।’’
ঢাকা/এনাম/বকুল