চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পুরোনো সাদাকালো ছবি রঙিন করবেন যেভাবে
Published: 9th, May 2025 GMT
পুরোনো অ্যালবামের সাদাকালো ছবি রঙিন করতে এখন আর আলাদা কোনো সফটওয়্যার বা পেশাদার গ্রাফিকস ডিজাইনারের শরণাপন্ন হতে হবে না। চ্যাটজিপিটির ইমেজ প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই পুরোনো যেকোনো সাদাকালো ছবি রঙিন ছবিতে রূপান্তর করা সম্ভব। চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সাদাকালো ছবিকে রঙিন করার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সাদাকালো ছবিকে রঙিন করার জন্য প্রথমে চ্যাটজিপিটির চ্যাট উইন্ডোতে থাকা ছবির আইকনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট সাদাকালো ছবি আপলোড করতে হবে। এরপর চ্যাটজিপিটির ইমেজ টুলের মাধ্যমে ছবি বিশ্লেষণ করার পর রং যোগ করার জন্য এআই মডেলটিকে বিস্তারিত নির্দেশনা দিতে হবে।
বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ছবি আপলোড করার পর ‘প্রম্পট’-এ ছবির সময়কাল, পটভূমি, ছবি তোলার পরিবেশ, ছবিতে থাকা ব্যক্তির পোশাক, চোখের রং বা আবহ স্পষ্ট করে লিখতে হবে। প্রম্পটে যত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে, ছবিতে রং যোগ করার কাজ ততই নিখুঁত ও বাস্তবধর্মী হবে। প্রম্পট দেওয়ার কিছু সময় পর ছবিটি প্রক্রিয়াকরণ করে রঙিন করে উপস্থাপন করবে চ্যাটজিপিটি। এরপর ডাউনলোড করে ছবিটি ব্যবহার করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত গোপালগঞ্জের রতন
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা রতন ঢালী (২৯) নামে এক যুবক। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিনি এবং ফয়সাল হোসেন (২২) নামে অপর এক বাংলাদেশি নিহত হন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রতনের বাবা জানান, দেড় বছর ধরে ছেলের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। ছেলে নিহত হয়েছে এ খবর জানে না তার মা।
গোপালগঞ্জের মকুসুদপুর উপজেলার হরিশ্চর গ্রামের আনোয়ার ঢালী এবং সেলিনা বেগম দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন রতন। বর্তমানে তার বাবা-মা এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের একটি টিনের ঘরে বসবাস করছেন। এর আগে তারা ঢাকায় থাকতেন।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে নিহত ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন
মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
রতন ঢাকার খিলগাঁওয়ের একটি মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতেন, তার বাবা আনোয়ার ঢালী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালাতেন। আনোয়ার ঢালী স্ত্রীকে নিয়ে মকুসুদপুর চলে আসলেও ছেলে রতন আসেননি। সবশেষ ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল ফোনে কথা হয় রতনের সঙ্গে তার বাবার।
সে সময় রতন তার বাবাকে জানান, তিনি ভারতে আছেন। সেখান থেকে দুবাই যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এরপর আর তাদের যোগাযোগ হয়নি।
মেডিকেল সেন্টারে কাজ করা ফয়সাল হোসেনকে নিয়ে রতন গত বছরের ২৭ মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে তারা অবৈধভাবে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে যান এবং তারা টিটিপিতে যোগ দেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে রতন ও ফয়সাল নিহত হন।
রতনের বাবা আনোয়ার ঢালী বলেন, “রতন শেষবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল। সে বলেছিল, ভারতে আছে, শিগগিরই দুবাই যাবে। এরপর রতনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। কয়েকদিন আগে পুলিশ বাসায় এসে রতনের নিহত হওয়ার খবর জানায়। সে কীভাবে পাকিস্তান গেল আর কীভাবে টিটিপিতে যোগ দিল তা জানা নেই।”
মকুসুদপুর উপজেলার হরিশ্চর গ্রামের একটি টিনের ঘরে বসবাস করেন রতনের বাবা-মা
তিনি জানান, রতন যে কাজ করেছে এ কারণে তাদের কোনো শোক নেই। যারা রতনকে এমন কাজে জড়িয়েছেন তাদের বিচারের দাবি করেন আনোয়ার ঢালী।
রতনের মা সেলিনা বেগম বলেন, “২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল শেষবার রতনের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন সে বলেছিল, মা আমি দুবাই যাচ্ছি, এখন দিল্লিতে আছি। আমি জানতে চাই, দুবাই যেতে এত টাকা কিভাবে পেলি। তখন রতন বলে, যেখানে কাজ করছি তারাই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এরপর আর কথা হয়নি।”
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ফয়সাল হোসেনের ঠিকানা এখনো জানা যায়নি।
ঢাকা/মাসুদ