রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লার সহযোগী মো. রমজান আলী ওরফে সিটু (৪৭), মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আলমগীর (৩৫), গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

রাসেল ওরফে রাসেল আল জোবায়ের (৩০), ঢাকা মহানগর ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান (৪৫) এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক সংসদ সদস্যের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবদুল কাদের (৫২)।  

শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা রমজান আলীকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মিরপুর বিভাগের একটি দল। ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একটি দল ওই দিন রাত রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহাখালীর রসুলবাগ এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা রাসেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার বিভাগের একটি দল। একই দিন রাত ৯টার দিকে ডিবি রমনা বিভাগের একটি আভিযানিক দল ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে থেকে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান এবং রাত ১০টার দিকে ঢাকার কলাবাগান থানা এলাকা থেকে আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব ভ গ র একট আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক

ফেনীতে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কলহের জেরে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞার পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি একই গ্রামের গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। আটক স্ত্রীর নাম খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে খালেদা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ছিল। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে গত কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এসব নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আলমগীর বাড়িতে আসেন। এরপর আজ দুপুরে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিতণ্ডা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ইয়াসমিন তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারের ভেতর আলমগীরের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) প্রথম আলোকে বলে, নতুন বিয়ে করার পর তাঁর বাবা তাঁদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
  • আঁখির অতিথি সৈয়দ আবদুল হাদী
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে অভিজ্ঞ সংস্থা ‘হোপ’ নির্বাচন পর্যবেক্ষকের তালিকায়
  • কাশিপুরে বিএনপি নেতা আলমগীর ও সাইদুর গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
  • এসিসির সভায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, নাকভি কথা না শুনলে আইসিসিতে অভিযোগ করবে ভারত
  • হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে
  • স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে বিতণ্ডা, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রথম স্ত্রী আটক