ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় গতকাল শনিবার রাতে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাত পৌনে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত পৌরসদরের সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের কারণে সড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটার যানজট তৈরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কিছু নেতা–কর্মী সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। এরপর তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করে মহাসড়কে অবস্থান নেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁর মোটরসাইকেল নিয়ে শুকলালহাট এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। দুই মিনিটের পথ অতিক্রম করতে তাঁর ২৫ মিনিট সময় লেগেছে।

যানজটে আটকা পড়া সীতাকুণ্ডের ছোটদারোগাহাট এলাকার বাসিন্দা মাসুম পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, এমনিতে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এর মধ্যে অবরোধের কারণে যানজটে পড়ে গাড়ির ভেতরে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা দেয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়ক অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় দিকে অন্তত ৪০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। তীব্র গরমের মধ্যে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করায় যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ক অবর ধ য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ