চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের তিন দিন পর ভুট্টাখেত থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
Published: 13th, May 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর আলমগীর হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আদমকুড়ি মাঠের একটি ভুট্টাখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আলমগীর হোসেন ওই ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা শামসুল মণ্ডলের ছেলে। পেশায় দিনমজুর আলমগীর পাশের সরোজগঞ্জ বাজারে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আলমগীরের স্ত্রী জোছনা খাতুন বলেন, গত রোববার দুপুরে জ্বালানি কাঠ কুড়াতে মাঠে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তাঁর স্বামী। তিনি একবার ভুট্টার খড়ি কুড়িয়ে বাড়িতে রেখে আবার মাঠে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। সন্ধ্যার পর তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হান্নান ওই ভুট্টাখেতে কাজ করতে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশ, সিআইডি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং আলামত সংগ্রহ করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে স্ট্রোক করে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে নার্সদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
রাজশাহী নার্সিং কলেজে দুপক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ নানা দাবিতে আলাদা আলাদা ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এর শিক্ষার্থীরা। সেই দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি আলাদা আলাদা ব্যানারে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সভায় যান ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত কয়েকজন। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে শুরু হয় উত্তেজনা।
এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা কলেজের বাইরে এসে গেটে অবস্থান নেন। আর বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজের গেট বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেন। এসময় দফায় দফায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এক পর্যায়ে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের এক শিক্ষার্থী কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই ভাঙা হয় গেট।
এরপর বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের দুই পক্ষের ইট ছোঁড়াছুঁড়ি, হামলা, পাল্টা হামলা, মারধরের ঘটনায় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, উত্তেজনা নিরসনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।