বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির দুটি দফা না মানায় রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায়’ ছয় দফা দাবি নিয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকায় কৃষিসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ‘কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদে’র বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন প্রতিনিধি। এ সময় ছয় দফার প্রথম ও চতুর্থ দফা দাবি না মানার খবরে তাৎক্ষণিক মিছিল শুরু করেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন, ছাত্রীহল সংলগ্ন সড়ক, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হয়ে আবার প্রশাসন ভবনের সামনে ফিরে আসে। এরপর মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যা সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে অবস্থান নেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা ও পেশাগত বৈষম্য নিরসনে ৬ দফা দাবির যৌক্তিকতা কৃষিসচিবের কাছে তুলে ধরা হয়। আলোচনা চলাকালীন কৃষিসচিব কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের প্রথম ও চতুর্থ দাবি নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা বলতে থাকেন। দাবি নিয়ে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত না দিয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছেন। বাকি চারটি দাবির সঙ্গে সচিব একমত পোষণ করলেও প্রথম ও চতুর্থ দাবি মানতে তিনি রাজি হননি। এ অবস্থায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো.

সানাউল্লাহ বলেন, তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা হচ্ছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং অন্যান্য গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। চতুর্থ দফায় রয়েছে—কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য কোনো নতুন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না। সব কটি দাবিই যৌক্তিক। দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফার অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিএই ও অন্যান্য কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নবম গ্রেডসহ অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত পদোন্নতি ও পদবৃদ্ধি করতে হবে; নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া ৯ম গ্রেডে (বিএডিসির কোটা বাতিল) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না; কৃষিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘কৃষিবিদ’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না এবং এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (ডিএই) অধীনেই রাখতে হবে।

আন্দোলনকারী কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ফাহাদ হাসান বলেন, আজকের এই কর্মসূচি পূর্বঘোষিত নয়, বরং সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দাবির অগ্রগতি না থাকায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাঁরা রাজপথে নামেন। দাবি পূরণে গড়িমসি চলতে থাকলে সারা দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে বৃহত্তর ‘কৃষিবিদ ব্লকেড’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।

পরে রাত ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এরপর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মুখরক্ষার যুদ্ধবিরতি কি স্থায়ী শান্তি আনবে

যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চলছিল এবং উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছিল, তখন হঠাৎ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে একটি ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ চূড়ান্ত হয়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্ত পর্যন্ত পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার ভয় বাড়ছিল। ভারতের প্রথম দফার মিসাইল হামলা ছিল অসামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর। এরপর তারা পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে।

এই পর্যায়ে পরিস্থিতি এতটাই টান টান ছিল যে মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। নিশ্চিত ছিল শুধু একটাই বিষয়। সেটি হলো, কাশ্মীরে নিজেদের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারতের যে গভীরে ঢুকে হামলা চালানোর কৌশল ছিল, তা বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে এবং তা ব্যর্থ হয়েছে। এই লড়াইয়ের সময় ভারতের যেসব যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে দুটি নাকি তিনটি ফরাসি রাফাল জেট ছিল, সেটি বড় কথা নয়।

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান  যুদ্ধবিরতি যেভাবে হলো ১০ ঘণ্টা আগে

মূল বিষয় হলো, প্রতিটি রাফালের দাম যেখানে ২৫ কোটি ডলারের বেশি, সেখানে এই ‘অত্যাধুনিক শক্তিশালী যুদ্ধবিমান’ বাস্তবে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ভারত যেভাবে ভেবেছিল, এই বিমান তার সামরিক ক্ষমতা দেখাবে, সেটা হয়নি; বরং পাকিস্তান যে অস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করেছে, সেগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা হলেও পাকিস্তান বিমানবাহিনী এত দক্ষতার সঙ্গে তা ব্যবহার করেছে যে রাফাল কার্যত অকেজো হয়ে গেছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে দামি যুদ্ধবিমান জে-১০ সি, যা কিনতে রাফালের পাঁচ ভাগের এক ভাগ খরচ পড়ে। তবু এই বিমান দিয়ে তারা ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ এক ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। কারণ, এই দুই দেশের হাতে মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি কৌশলগত ও কৌশলগত-পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। সেগুলো ছোড়ার নানা ধরনের পদ্ধতিও তাদের রয়েছে। ফলে যদি এই উত্তেজনা এভাবে বাড়তেই থাকে, তাহলে একটুখানি ভুল হিসাব বা ভুল সিদ্ধান্ত ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়া, এমনকি গোটা বিশ্ব হয়তো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে এই ভেবে যে শেষ পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ হয়নি। যদিও সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এরপর সবার মনে একটাই প্রশ্ন জাগছিল—এখন কী হবে?

দক্ষিণ এশিয়া, এমনকি গোটা বিশ্ব হয়তো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে এই ভেবে যে শেষ পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ হয়নি। যদিও সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এরপর সবার মনে একটাই প্রশ্ন জাগছিল—এখন কী হবে?

সবকিছু কি আবার পুরোনো চিত্রে ফিরে যাবে? ঠিক যেমনটা বহু বছর ধরে হয়ে আসছে—ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয়, তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়, তারপর দুই দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে, যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়, এরপর আবার ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। অনেক পাকিস্তানি তো বটেই, অনেক ভারতীয়ও হয়তো এই দৃশ্যের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কারণ, কয়েক বছর পরপর এমন উত্তেজনা দেখা দেয়।

গত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এবার পাকিস্তানের অনেক গভীরে ঢুকে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায়। এটি আগের চেয়ে অনেক বড় পদক্ষেপ।

ভারতের অনেক পাঠক হয়তো মনে করতে পারেন, এই লেখায় ‘ভারতকে বাধ্য করা হয়েছে’, এই কথা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। কারণ, তাঁরা যা শুনছেন, তা মূলত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গণমাধ্যম ও পরিচ্ছন্ন, ছাঁকাছাঁকি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে। কিন্তু তাঁদের এটা ভেবে দেখা উচিত, ভারতের সরকার গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে কী অবস্থানে ছিল।

যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন এবং দুই দেশকে ‘কমনসেন্স’ ও ‘চমৎকার বুদ্ধিমত্তা’ দেখানোর জন্য অভিনন্দন জানান, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি টুইট ছিল আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতপূর্ণ। রুবিও বলেন, তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে (যার মধ্যে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও রয়েছেন) আলোচনা করেছেন।

রুবিও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘বিচক্ষণতা, ধৈর্য আর নেতৃত্বগুণের’ প্রশংসা করেন। কারণ, তাঁরা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। তবে তাঁর বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি ছিল, ‘একটি নিরপেক্ষ স্থানে বসে বহু বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।’

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান আরও বিপজ্জনক এক যুগে ঢুকে পড়েছে১৮ ঘণ্টা আগে

এই আলোচনা কোথায় বা কখন হবে, তখনো তা ঠিক হয়নি। কেউ কেউ ধারণা করছেন, এটি আবুধাবিতে হতে পারে। যেখানেই হোক না কেন, কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে ভারত তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আগে ভারত বলেছিল, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থন বন্ধ না করলে, কোনো আলোচনাই হবে না।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাধারণত যখন এমন কিছু হয়, তখন দুই পক্ষই এটাকে ‘নিজেদের জয়’ বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখানে একমাত্র ভারতই তার অবস্থান বদলেছে। কারণ, পাকিস্তান আগেই বারবার বলেছে, তারা আলোচনায় বসতে চায়। যদি সত্যিই এই সংলাপ হয় আর ভারত যদি মাঝপথে পিছিয়ে না আসে, তাহলে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষই হবে প্রকৃত বিজয়ী।

আব্বাস নাসির ডন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক

ডন থেকে নেওয়া, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট, কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন
  • ‘বাবা এখন কারিনার সঙ্গে অনেক সুখী’
  • রাজশাহীতে নার্সদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
  • এমপি আনার হত্যার ১ বছর: মরদেহের খণ্ডাংশের আশায় পরিবার
  • সৌদি আরব পৌঁছেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদে আবারও আন্দোলন
  • কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদে আবারও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
  • আনচেলত্তিই ব্রাজিলের নতুন কোচ
  • ভারত-পাকিস্তানের মুখরক্ষার যুদ্ধবিরতি কি স্থায়ী শান্তি আনবে