যশোরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. সাগর শেখকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা, চুরি ও মাদকসহ মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) র‌্যাব-৬-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

গ্রেপ্তার সাগর গোপালগঞ্জের কাজলিয়া বাজার এলাকার ফায়েক শেখের ছেলে। তিনি যশোর সদরের রেলগেট পশ্চিম পাড়া সড়ক কলাবাগান এলাকায় বসবাস করতেন। 

আরো পড়ুন:

র‌্যাব পুনর্গঠন হচ্ছে, উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

র‌্যাব-৬ জানায়, যশোরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাগর শেখকে খুলনার রুপসা থানাধীন জাবুসা এলাকা থেকে যশোর র্যাব ক্যাম্পের একটি  দল শুক্রবার (১৬ মে) রাতে গ্রেপ্তার করে। তাকে যশোর কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাইয়ের মতো গতকালের আন্দোলনও সফল করেছে শিক্ষার্থীরা: জবি উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, জবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২৪-এর জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। গতকালই আমাদের আরেকটি সফল আন্দোলনের সমাপ্তি হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের এবারের আন্দোলনে আমাদের অভূতপূর্ব সফলতা পাওয়া গেছে।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত ইসলামিক স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে অপ্রতুল। তবে তারা অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। অ্যালামনাইরা দেশ-বিদেশে নানা ক্ষেত্রে সফলভাবে কাজ করছে। আশা করি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। সে লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হলেও তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর অর্জিত গণতান্ত্রিক পরিবেশে আজ আমরা বিভাগের প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী আয়োজন করতে পেরেছি। এই পুনর্মিলনী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।’

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা ও দায়িত্ব অনেক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা ভবিষ্যতে দেশের মন্ত্রী, আমলা এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে একটি সক্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. মুহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ হোসেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক ও অ্যালামনাইবৃন্দ এতে অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ