আমার জন্ম গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ওখানেই। দল বেঁধে বড় বড় জঙ্গলের পাশ দিয়ে ঢাকা-হালুয়াঘাট সড়কের পাশে কাকনী প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। হাইস্কুলেও একই পথ দিয়ে গিয়েছি। জঙ্গলের নাম না–জানা গাছগুলোকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। অনেক সময় একাও যেতে হতো। সে সময় বই বুকে জড়িয়ে ধরে দিতাম দৌড়। জঙ্গল পার হয়ে তবেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচতাম।
বসন্তে-গ্রীষ্মে জঙ্গলের বনজামগাছে ফল পেকে প্রথমে হলুদ, পরে কালো রঙের হতো। স্কুল থেকে ফেরার পথে দল বেঁধে জঙ্গলে ঢুকে পাকা বনজাম খেতাম। অনেক দিন একাও ডরভয় তুচ্ছ করে বনজাম খাওয়ার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছি। চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ফুলবাহী, ফলবাহী বুনো গাছের ডাল দিয়ে বাড়ির গোয়ালঘর সাজানো হতো। বাড়ির কাজের ছেলের সঙ্গে আমিও ওগুলো সংগ্রহ করতে যেতাম। কাজের ছেলের কাছেই অনেক বুনো উদ্ভিদের স্থানীয় নাম জেনেছিলাম। গোয়ালঘর সাজানোর অন্যতম উপকরণ ছিল বনজামের ফুল ও ফলবাহী শাখা।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের বনজাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বনজ ম
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরায় ‘ট্রেনের ধাক্কায়’ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, সন্দেহ পরিবারের
রাজধানীর উত্তরায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ বলছে, তিনি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন। তবে এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পরিবার।
মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম কে এম মনসুর আলী (৪০)। তিনি রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মনসুর গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মনসুর পরিবার নিয়ে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় থাকতেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই সাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে মনসুরের বাসায় ফেরার কথা। তাঁদের ধারণা, কেউ মনসুরকে ফোন করে ডেকে নিয়েছিল। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে মোটরসাইকেল রেখে তাঁকে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। তা ছাড়া মনসুরের মাথায় আঘাতের যে চিহ্ন দেখা গেছে, তাতে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছে, ধারালো কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, মনসুরের মরদেহ আজ রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনসুরের বাড়ি পাবনার আমিনপুরে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।