Prothomalo:
2025-07-05@06:30:26 GMT

ছোটবেলার প্রিয় বনজাম

Published: 18th, May 2025 GMT

আমার জন্ম গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ওখানেই। দল বেঁধে বড় বড় জঙ্গলের পাশ দিয়ে ঢাকা-হালুয়াঘাট সড়কের পাশে কাকনী প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। হাইস্কুলেও একই পথ দিয়ে গিয়েছি। জঙ্গলের নাম না–জানা গাছগুলোকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। অনেক সময় একাও যেতে হতো। সে সময় বই বুকে জড়িয়ে ধরে দিতাম দৌড়। জঙ্গল পার হয়ে তবেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচতাম।

বসন্তে-গ্রীষ্মে জঙ্গলের বনজামগাছে ফল পেকে প্রথমে হলুদ, পরে কালো রঙের হতো। স্কুল থেকে ফেরার পথে দল বেঁধে জঙ্গলে ঢুকে পাকা বনজাম খেতাম। অনেক দিন একাও ডরভয় তুচ্ছ করে বনজাম খাওয়ার জন্য জঙ্গলে ঢুকেছি। চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ফুলবাহী, ফলবাহী বুনো গাছের ডাল দিয়ে বাড়ির গোয়ালঘর সাজানো হতো। বাড়ির কাজের ছেলের সঙ্গে আমিও ওগুলো সংগ্রহ করতে যেতাম। কাজের ছেলের কাছেই অনেক বুনো উদ্ভিদের স্থানীয় নাম জেনেছিলাম। গোয়ালঘর সাজানোর অন্যতম উপকরণ ছিল বনজামের ফুল ও ফলবাহী শাখা।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের বনজাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বনজ ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘আরিফিন শুভ ফিটনেস অনুপ্রেরণা, শাকিব খান জীবনের’

এক যুগ ধরে অভিনয় করছেন তৌসিফ মাহবুব। কিছুদিন আগেও প্রচুর নাটকে কাজ করতেন, এখন তা কমিয়ে এনেছেন। গেল ঈদেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এবার তিনি চলছেন ভিন্ন পরিকল্পনায়। মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে এ বছর সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। স্বপ্ন এখন বড় পর্দায়। তৌসিফের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কথা বলেছেন মনজুর কাদের

ঈদের পর তিন সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে শুটিংয়ে ফিরলেন তৌসিফ। থ্রিলারধর্মী নাটক, বানিয়েছেন ভিকি জাহেদ। এর আগেও এই পরিচালকের সঙ্গে কাজ হয়েছে, বরাবরই ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা। এবার ঢাকা শহরের নানা প্রান্তে এই নাটকের শুটিং হয়েছে। আবার কখনো ছুটে যেতে হয় পদ্মার পাড়ে। গল্পের প্রয়োজনে এমন ছোটাছুটি। তৌসিফ বললেন, ‘ভিকি জাহেদের গল্প বলার ধরন আলাদা। এই কাজটাও তার স্টাইলেরই, তবে উপস্থাপনে বরাবরের মতো রয়েছে নতুনত্ব।’

আগে দুই দিনে নাটকের শুটিং শেষ করতেন তৌসিফ। বছরখানেক ধরে ৫-৬ দিনে একই দৈর্ঘ্যের কাজ করেন, কখনো তা ৮-১০ দিনও লেগে যায়। কারণ হিসেবে একটা সময় অনেক কাজ করেছেন। সেই কাজ তাঁকে পরিচিতি যেমন দিয়েছে, তেমনি কিছু আফসোসও রয়েছে। সেই ‘গ্লানি’ থেকে মুক্তি পেতে এই কৌশল, সংখ্যা কমিয়েছেন। গেল এক মাসে তৌসিফ অভিনীত নতুন নাটক প্রচারিত হয়েছে চারটি।

কম কাজের কারণ

২০১৩ সালে ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ নাটকটি রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় তৌসিফকে। নাটকটি দেখে সে রাতেই বন্ধুদের শুভেচ্ছায় ভরে যায় তাঁর ফোন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ফেসবুকে যুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার অনুসারী। ওই নাটকের জন্য অনেক দিন প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এরপর প্রতি ঈদে ৮-১০টি নাটক প্রচারিত হতো তাঁর। কখনো সংখ্যাটা আরও বাড়ত। এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়ে এনেছেন, বছরে ২-৩টির মধ্যে সীমিত রেখেছেন। কারণ, সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তুতি। তিনি বলেন, ‘সিনেমার কাজ অনেক সময় নিয়ে হয়। প্রি-প্রোডাকশন, চরিত্র প্রস্তুতি—সবকিছুতেই সময় লাগে। কম নাটক করার মধ্য দিয়ে আমিও একরকম সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদিও এতে আয় কমেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা থেকেই কষ্ট করে এগোচ্ছি।’

তৌসিফ মাহবুব

সম্পর্কিত নিবন্ধ