আমিরাতের কাছে হেরে শিশিরকে দুষলেন লিটন
Published: 20th, May 2025 GMT
শারজাহর ছোট মাঠে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ! এত রান তাড়া করা দল সাধারণত চোখে দেখা যায় না। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটাল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়ে হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। ২ উইকেটের এই পরাজয়ে একরকম স্তব্ধ টিম টাইগার্স। অথচ এমন ম্যাচে জয় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই আমিরাতের প্রথম জয়। আর এমন ঐতিহাসিক হারের পেছনে অধিনায়ক লিটন দাস দায় দিচ্ছেন শিশির ও বাজে ফিল্ডিংকে। ম্যাচ শেষে হতাশ লিটন বলেন, ‘এই উইকেটে আমরা ভালো ব্যাট করেছি। তবে ওরা ব্যাটিংয়ে নামার পর শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। সঙ্গে ফিল্ডিং ও মিডল ওভারের বোলিংয়েও ঘাটতি ছিল। এমন কন্ডিশনে বোলারদের আরও পরিকল্পিত হতে হয়।’
ম্যাচে নাটকীয়তার শেষ নেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমিরাতের দরকার ছিল ১২ রান, হাতে ৩ উইকেট। টাইগার পেসার তানজিম সাকিব সেই চাপ সামলাতে পারেননি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হায়দার আলি ও মতিউল্লাহ খান জয় তুলে নেন মাত্র এক বল বাকি থাকতে।
লিটন স্বীকার করেন যে নিজের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক ছিল না। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বোলারদের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স পাননি বলেও উল্লেখ করেন, ‘রানা যেভাবে আগের ওভারে বল করেছে, তার থেকে আমরা আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কারও কারও ভালো দিন যায়, খারাপ দিনও আসে। আমরা বসে আলোচনা করব এবং ঘুরে দাঁড়াব। আমি নিজেও জানি আজকের ব্যাটিং আমার মান অনুযায়ী হয়নি, তবে আমি সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা ৫ পারফরম্যান্স
২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকেই চমক। পরের বছরই আইপিএল থেকে ডাক। মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল অভিষেকও হয়েছিল স্বপ্নের মতো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট, ইকোনমি মাত্র ৬.৯০! সেবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টুর্নামেন্ট জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ।
এরপর দল বদলেছেন কয়েকবার। সাকিব আল হাসানের মতো মোস্তাফিজও হয়ে ওঠেন আইপিএলে বাংলাদেশের মুখ। তবে এবার মনে হচ্ছিল আর বুঝি আইপিএল খেলা হবে না মোস্তাফিজের। কিন্তু শেষদিকে এসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত পরিস্থিতি, অনেক বিদেশি ক্রিকেটারের ভারত ছেড়ে যাওয়া, সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই সুযোগ চলে আসে মোস্তাফিজের সামনে। ডাক পান দিল্লি ক্যাপিটালসে।
এরই মধ্যে মোস্তাফিজকে ছাড়পত্রও দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলবেন তিনি। বিসিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুধু প্রথমটিতেই মোস্তাফিজকে পাওয়া যাবে।
আইপিএলে দিল্লির ম্যাচ বাকি এখনো তিনটি। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা দিল্লির প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেশ ভালোভাবেই আছে। এই তিন ম্যাচে মোস্তাফিজ খেলেন কি না, খেললে কেমন করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ফিরে দেখা যাক, আইপিএলে মোস্তাফিজের স্মরণীয় পাঁচটি ম্যাচ:
৪/২৯: চেন্নাই সুপার কিংস-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ২০২৪১৭তম আইপিএল মৌসুমের প্রথম ম্যাচ, মঞ্চ চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়াম। একদিকে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই, অন্যদিকে ফাফ ডু প্লেসির বেঙ্গালুরু। মোস্তাফিজ বল হাতে পেলেন পঞ্চম ওভারে। প্রথম বলেই কাভারের ওপর দিয়ে মেরে দেন ফাফ, কিন্তু পরের বলেই কাটারে ধরা খেলেন। ধীরে আসা বল বুঝতে না পেরে শট মিস করে ফেলেন—ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ।
পরের উইকেট রজত পাতিদারের—ব্যাটের কানায় বল লেগে যায় ধোনির গ্লাভসে। এরপর ১২তম ওভারে বিরাট কোহলিকে ফেরানোর পরের বলেই ক্যামেরন গ্রিনকে বোল্ড! শেষ দুই ওভারে কিছু রান দিলেও আসল কাজটা করে ফেলেছিলেন আগেই। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে বাঁহাতি পেসারের হাতেই।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেটের ম্যাচে স্বীকৃতি।