অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলা এমন আলোচনার মধ্যে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন নাহিদ ইসলাম।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্তে আলাপ করেছেন। অধ্যাপক ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা পদে থাকার বিষয়টি নিয়েই মূলত তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

জানতে চাইলে নাহিদ ইসলামও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাধবপুরে চা বাগানে মাদকের কারবার, বিপথে তরুণরা

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মাদকের রমরমা কারবার জমে উঠেছে। সহজে মাদক পাওয়া এবং প্রত্যন্ত নিরিবিলি এলাকা হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে তরুণ ও যুবকরা এখানে এসে মাদক সেবন করে। বাগান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারছে না। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

তেলিয়াপাড়া চা বাগান হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ রয়েছে। বাগান ও তেলিয়াপাড়া চা বাগান স্মৃতিসৌধ দেখার অজুহাতে মাদকসেবীরা এসে মাদক সেবন করে থাকে। বাগানের কিছু যুবক টাকার লোভে পড়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে চলে মাদক কেনাবেচা।

যোগেন্দ্র সাঁওতাল নামে তেলিয়াপাড়া চা বাগানের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ শ্রমিক নেতা জানান, আগে চা বাগানে মাদকের ব্যাপকতা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাইরের লোকদের প্ররোচনা ও লোভে পড়ে এখন কিশোর এবং তরুণরা বিভিন্ন মাদকের কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। যারা এসব সেবন করছে, তারা সবাই বয়সে তরুণ ও যুবক। মোটরসাইকেলযোগে তাদের যাতায়াত।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খান বলেন, মাদকের কারণে চা বাগানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বাগানকে শতভাগ মাদকমুক্ত রাখতে এনটিসি কর্তৃপক্ষ বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে নাগরিক সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ