বনানীতে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
Published: 25th, May 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতে কংক্রিট মিক্সার ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন- আশফাকুর রহমান ও আসিফ মাহমুদ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত আশরাফুল রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালক। আসিফ তার মোটরসাইকেলের যাত্রী ছিলেন। তারা মহাখালী দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাকলী বাসস্ট্যান্ডে ওই ট্রাক তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ট্রাকের সহকারী রবিউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। ট্রাকটি জব্দ করলেও চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান জানান, মোটরসাইকেলটি রাস্তায় পিছলে পড়ে গেলে ট্রাকটি তাদের ওপর উঠে যায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত দ ই
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সার্বজনীন অধিকারের প্রধান নয়টি দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে ‘রাবি সংস্কার আন্দোলন’ এ সংবাদ সম্মেলন করে।
তারা নয় দফা দাবিগুলো হলো- পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণা, রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত, সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু, ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক ডিজিটালাইজেশন ও ক্যাশলেস ক্যাম্পাস, হল ডাইনিংয়ে মানসম্মত খাবার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি দ্রুত কার্যকর এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করতে হবে।
আরো পড়ুন:
এনসিপি জুলাইকে কুক্ষিগত করেছে: শরিফ ওসমান
চবিতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি
সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ, শিক্ষার্থীবান্ধব ও সমতাভিত্তিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয় দফা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী দাবি উত্থাপন করছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নানা অব্যবস্থাপনা, অবহেলা ও সংকটে জর্জরিত। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা ও ন্যায্য অধিকার বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই নয় দফা দাবি বাস্তবায়িত হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, কার্যকর ও মানবিক শিক্ষা-পরিবেশ।
তারা আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা এবার ২৫ মে থেকে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে যেসব দাবি বাস্তবায়নযোগ্য, তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং যেগুলোর জন্য সময় প্রয়োজন, সেগুলোর ক্ষেত্রে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না করলে আমরা ২১ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক জনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও দেয়ালিকা লিখনসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে যাব। আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হবে ‘মার্চ ফর আওয়ার’ কর্মসূচি, যা চলবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত। এই সময় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ মাঠপর্যায়ের আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক আন্দোলনে কেন আসছে না এ প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। সে লক্ষ্যে আমরা যৌক্তিক নয়টি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ ও সপ্তাহব্যাপী জনসংযোগ চালাব। আমরা প্রতিটা বিভাগ ও হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করব।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী