Samakal:
2025-11-02@18:45:08 GMT

আদা খাওয়ার যত উপকারিতা 

Published: 26th, May 2025 GMT

আদা খাওয়ার যত উপকারিতা 

সবজি থেকে শুরু করে চা - সবকিছু তৈরিতে আদা ব্যবহার করা হয়। এই সবজিটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এটি খেলে অনেক গুরুতর রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ আদা, ঠান্ডা-কাশি সহ অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসায়ও কার্যকর। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান, যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ক্লোরিন এবং ভিটামিন, শরীরকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।

নিয়মিত আদা খাওয়ার সুফল-

অ্যাসিডিটি দূর হয়: খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার অ্যাসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে আদা খান। এটি শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট পর এক কাপ আদার রস পান করুন।

বমি বমি ভাব এবং বমি কমানো: আদা বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আদা খেলে বমি বমি ভাব এবং সকালের অসুস্থতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হজম উন্নত করে: আদাতে জিঞ্জেরল নামক একটি জৈব সক্রিয় যৌগ থাকে, যা পাচক এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করে হজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও ভূমিকা রাখে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আদাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

জয়েন্টের ব্যথা কমায়: আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি খেলে বা জয়েন্টে লাগালে ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথায় কার্যকর: আদা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে।

আদা কীভাবে খাবেন?
আদা সাধারণত চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে চায়ের পরিবর্তে আদার পানি পান করুন। আদার পানি তৈরি করতে, এটি কুঁচি করে নিন। এবার এক গ্লাস পানিতে কুঁচি করা আদা ফুটিয়ে নিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ