নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু করণীয় সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সম্মেলনকক্ষে ওই বৈঠক হয় বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণপদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়। আগামী নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ইসি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে সীমানা নির্ধারণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি মঙ্গলবারের বৈঠকে ইসিকে জানানো হয়েছে। ইসির সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ইসির পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে তারা সীমানা নির্ধারণে এ রকম একটি গঠন করেছে।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের পর ড্রেনে ফেলার ‘ভিডিওটি ভুয়া’
ঢাকার বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে যাওয়ার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে, সেটি ভুয়া।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাাক্ট চেকের ফেসবুক পেজে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ওই ভিডিওর ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, এই ঘটনা বাংলাদেশেরই নয়, এটি ভারত থেকে পরিচালিত একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনে পুলিশকে ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সুরক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ত্যাগ ও নিষ্ঠা দৃষ্টান্তমূলক: প্রধান উপদেষ্টা
প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ঢাকার বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে যায় তিন সন্ত্রাসী। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে একজন তরুণী পড়ে আছে, তার কাছেই পড়ে আছে জুতা এবং পানির বোতল।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সত্য নয়। মূল ভিডিওটি ‘ওমা মেজেম’ নামক ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। একটি সাজানো ভিডিওকে প্রচার করা হচ্ছে ধর্ষণ-পরবর্তী ভিডিও বলে।
অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির বিভিন্ন কি-ফ্রেমের সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চে ইউটিউবের একটি লিংক পাওয়া যায়। ‘ওমা মেজেম’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ভিডিওর সাথে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা ছাড়া বাকি দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা- ‘#shorts #comedy #funny #bodocomedy’। ক্যাপশন থেকে বোঝা যায়, এটি কমেডি ধারার ভিডিও।
দেখুন: https://www.youtube.com/shorts/XML5_4O6ez8
চ্যানেলটি যাচাই করে ওই নারীর একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। বেশির ভাগ ভিডিও মজার ছলে তৈরি। ইউটিউবে ওই চ্যানেলের বিবরণ সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, @Bodo_credit ইউজার নাম দিয়ে চলতি বছরের ২১ মে চ্যানেলটি খোলা হয়েছে। ভারত থেকে চ্যানেলটি তাদের কন্টেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্থাৎ, ভিডিওর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের দাবিটি সঠিক নয়।
অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম যাচাই করে, সম্প্রতি বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ বা এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রাসেল