কুমিল্লার মুরাদনগরের সেই ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে বিএনপির নেতা বলে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেছেন বিএনপির এক নেতা।

মামলার আসামি মাহবুব আলম (আরিফ) দৈনিক মানবকণ্ঠের মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।

গত সোমবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হকের আদালতে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এ মামলা করেন। বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট মাহবুব আলমকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়, চলতি বছরের ২৭ জুন রাতে মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ফজর আলীকে ‘মুরাদনগর লাইভ টিভি’ নামের ফেসবুক পেজে বিএনপি নেতা বলে উল্লেখ করেছেন মাহবুব আলম, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ফজর আলী ও তাঁর পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কোনো দিনই জড়িত ছিলেন না।

আরজিতে বলা হয়, ‘আসামি উক্ত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন এবং মানহানি করেছেন। এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মানহানি করে আর্থসামাজিকভাবে এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেন।’

এ প্রসঙ্গে কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ব্যক্তিকে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা দাবি করলে অবশ্যই সেই ব্যক্তির পদ-পদবি থাকতে হবে। কিন্তু ফজর আলীর বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যও নেই। তিনি আওয়ামী লীগের লোক এরই মধ্যে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে এবং তাঁর বাবাও মিডিয়ায় বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

তবে সাংবাদিক মাহবুব আলম সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় আসামি ফজর আলীকে স্থানীয়রা বর্তমানে বিএনপি নেতা হিসেবে জানেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের একাধিক বক্তব্য রয়েছে। স্থানীয়দের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনকালে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথেও ফজর আলী উপস্থিত ছিলেন। যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র দনগর ব এনপ র কর ছ ন ম হব ব

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই 

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে চাঁদা দাবির অভিযোগে আব্দুল জব্বার নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আসাদনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে যান জব্বার। তিনি ভবন মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জব্বারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় রফিকুল ও আরিফ নামে দুই ব্যক্তি জানান, জব্বার মনোহরদীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেন। জুলাই বিপ্লবের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেও তার নেতৃত্বে একটি গ্যাং নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। তারা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকেও বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবি করে।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে জমিজমা বিরোধের জেরে শিশুকে বেদম প্রহার

‌‘উপজেলায় এখন কী কাজ’ বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর

নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে নারীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মূলহোতা শাহ পরান পাঁচদিনের রিমান্ডে 
  • মুরাদনগরের সেই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যে’র ব্যক্তির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  • অবশেষে ডাক্তারি পরীক্ষা হলো মুরাদনগরের সেই নারীর
  • আদালতে চার আসামির কেউই জবানবন্দি দেননি
  • ১২ দিন পর নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন, রিমান্ড শেষে ৪ আসামি কারাগারে
  • মুরাদনগরে নারী নির্যাতন: রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে তোলা হবে আজ
  • সমকামীতার জেরে রূপগঞ্জে পারভেজকে হত্যা , গ্রেপ্তার ২
  • ‘মূল হোতা’ গ্রেপ্তার না হওয়ায় চারদিক থেকে ‘খুনের হুমকি পাচ্ছে’ পরিবার
  • নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই