তারেক রহমানের নির্দেশে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন সহায়তা
Published: 26th, May 2025 GMT
যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ২০টি বাড়ির বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিএনপি।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব পরিবারগুলোর হাতে সহায়তা তুলে দেন।
আরো পড়ুন: অভয়নগরে আগুনে পোড়া বাড়িগুলো পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
আরো পড়ুন:
বাড্ডায় বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় মামলা
আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে বিএনপির কমিটি করার দাবি
সোমবার (২৬ মে) সকালে টি এস আইয়ুব যশোরের বাঘারপাড়া ও অভয়নগর বিএনপির নেতাদের নিয়ে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে যান।
টি এস আইয়ুব বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে এসেছি।” এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ দুই হাজার টাকা, ১ বস্তা চাল ও ২-৩ কেজি ডাল বিতরণ করেন। একই সঙ্গে বিএনপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন: অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে হত্যার পর ২০ বাড়িতে আগুন
গত ২২ মে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ওই গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়ি লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেয় কিছু লোক। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় পরিবারগুলো।
রবিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
সে সময় তাদের কাছে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির নারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পাশে থাকার এবং সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
যশোরের অভয়নগরে সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার স্বরখোলা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বড়েদাপাড়ায় সংঘটিত নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন চারজন। তরিকুল হত্যার পর মতুয়া সম্প্রদায়ের দরিদ্রপল্লিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি পরিবারের অন্তত ৪৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে দায়ের করা মামলায় বাদী কল্পনা বিশ্বাস ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ উল্লেখ করেছেন। কল্পনা ভুক্তভোগী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, স্থানীয় সরখোলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমন হোসেন (৩০), মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে রিফাতুল ইসলাম রাতুল (২৩) ও বুইকারা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৭)।
মামলার বাদী কল্পনা বিশ্বাস বলেন, গত ২২ মে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম সরদার হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র ও পেট্রোলসহ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালপত্র লুট করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। একইভাবে ১৯টি পরিবারের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সব মিলিয়ে ১৯ পরিবারের প্রায় ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অভয়নগর থানার ওসি মো. আব্দুল আলীম বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে বুধবার আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া তরিকুল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ফিরোজ খান, সাগর বিশ্বাস, দিনেশ ও সুমন নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াটি গ্রামের বড়েদাপাড়ায় পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম সরদার খুন হন। মৎস্যঘেরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ওই রাতে তরিকুলের অনুসারীরা পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৯টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।