জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 30th, October 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকে শতভাগ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার রাজারবাগে পুলিশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ডিএমপির গ্র্যান্ড কল্যাণ সভায় ডিএমপির সব অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন এ দেশের মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত ছিলেন। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ মো.
বেআইনি সমাবেশ মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বা ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য শোনেন এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কল্যাণ সভায় পুলিশ কমিশনার ঘোষণা দেন, দায়িত্ব পালনকালে ডিএমপির কোনো সদস্য আহত হলে তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার ডিএমপি বহন করবে। তিনি ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত খেলাধুলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে অনুরোধ জানান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অধীন ব্যক্তিদের প্রতি সব সময় সহানুভূতিশীল হতে হবে।’
কল্যাণ সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার বলেন, থানায় আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সুবিধার্থে থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তার (ডিউটি অফিসার) কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন করা হচ্ছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক থানা, ফাঁড়ি ও আদালতের মালখানার জরাজীর্ণ অবস্থা। এগুলো মেরামত করে বসবাস উপযোগী করা হচ্ছে। সামনের নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। এ সময়ে আবার সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ডিএমপির গ্র্যান্ড কল্যাণ সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স ও প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার, উপকমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৫০ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জ জ ত আল ড এমপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।
সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’
আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’
আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’
২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।
মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো, যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।