বিএনপির জুলাই সনদে ‘না’ বলার সুযোগ নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
Published: 30th, October 2025 GMT
বিএনপির জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, কাবিননামায় সাইন করেছে বিএনপি; তারা জুলাই সনদে ‘হ্যাঁ’ বলেছে, তাই তাদের ‘না’ বলার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপিতে সহোদর দ্বন্দ্ব, সমাবেশ না করতে জেলা কমিটির চিঠি
বিএনপি-আ.                
      
				
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘‘বিএনপির ‘না’ শব্দ বলার কোনো ওয়ে নাই। তারা ‘হ্যাঁ’ অলরেডি বলে দিয়েছে। তারা বিবাহে রাজি হয়েছে, কাবিননামায় সাইনও করেছে। এখন তাদের ‘না’ বলার কোনো অপশন নাই। তাদের এটা আগেই ভেবেচিন্তে করা উচিত ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল ‘হ্যাঁ’ ভোটের মধ্য দিয়ে। বিএনপি যদি ‘না’ ভোটে স্টিক থাকে, বিএনপির মৃত্যু হবে ‘না’ ভোটের মধ্য দিয়ে। বিএনপি এই কনসেনসাস কমিশনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছিল, বাংলাদেশের জনগণ সেই জায়গাটা ঠেকিয়ে দিয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কমিশন থেকে সুপারিশ এসেছে, আমরা সেখানে দাবি করেছি, প্রস্তাবনা যে এক, যেটা রয়েছে, সেটার পথেই সরকারকে হাঁটতে হবে। এছাড়া সরকারের সামনে বিকল্প কোনো পদ্ধতি থাকা উচিত না। কিন্তু পদ্ধতি বা প্রকল্প প্রস্তাব যেটা এক নাম্বার রয়েছে, সেখানেও আবারো কিছু বিপত্তি বাধিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তারা কিছু শব্দ যোগ করেছে, ‘বিবেচনা করিবে’, ‘হবে’, ‘সম্ভাবনা’, অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ তারা যোগ করেছে। সেখানে আমরা এই শব্দগুলোর সুস্পষ্টতা সরকারের কাছে দাবি করছি। কারণ ‘বিবেচনা করিবে’, ‘নাও করতে পারে’, এ ধরনের অস্পষ্টতার মধ্য দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে ঠেলে দিতে পারবো না।’’
‘‘গণভোট কি আগে হবে, নাকি পরে হবে? আমরা মনে করি এটা জামায়াতে ইসলাম এবং বিএনপির মধ্যে একটা কুতর্ক। এই কুতর্কের মধ্যে আমরা জড়াবো না। বরং দুই দলেরই উচিত ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করা।’’ বলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে জামায়াত এবং বিএনপির এই যে গণভোট আগে-পরে, এই যে কুতর্ক আছে, আমরা সেই কুতর্কে জড়াবো না। কারণ আমাদের সামনে অনেকগুলো কাজ রয়েছে, আমরা সেই কাজগুলোতে ফোকাসড হয়ে আছি।’’
ঢাকা/নাজমুল//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ এনস প ব এনপ র ক তর ক
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য
লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”
তিনি আরো বলেন, “জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্বের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত করা, সদস্যপদের যোগ্যতা সহজ করা এবং সংবিধানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদককেও যুক্ত করতে হবে।”
সংগঠনটি জকসুর কাঠামোতে নতুন ১০টি পদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীবিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক (শুধু নারীদের জন্য), দক্ষতা উন্নয়ন (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট) সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পাদক এবং কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক।
এর আগে, ছাত্রদলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ জকসু বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই যোগ্য। তবে এখনো প্যানেল নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা রাখা হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ থাকলেও জকসুতে তা নেই। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।”
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, আহ্বায়ক সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
 সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক রোববার
সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক রোববার