আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (এসিএন্ডএস) রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ৪৪তম এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিজেসিএসসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

এইচএসসির ফল: সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বড় সাফল্য, পাশের হার ৯৮.

বৃহস্পতিবার সকালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এসিঅ্যান্ডএসে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া এবং কমান্ড্যান্ট, এসিএন্ডএস।

বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে সেনাপ্রধান উভয় কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশের সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান কোরগুলোর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; মহাপরিচালক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর; জিওসি ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, সিলেট এরিয়া; জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, চট্টগ্রাম এরিয়া; মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; চেয়ারম্যান, বেপজা; সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ, এনডিসি; সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; কমান্ড্যান্ট, এসিএন্ডএস; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার; এয়ার ডিফেন্স ব্রিগেডের কমান্ডার; আর্টিলারি রেজিমেন্টের অধিনায়ক এবং এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ অক্টোবর এসিএন্ডএস এ রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির ১০ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের প্রথম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান, মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ন ড য ন ট কম ন ড র

এছাড়াও পড়ুন:

উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ

ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।

সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’

আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’

আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’

২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।

মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো,  যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ