জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক কার্যক্রমে অবদান রাখা ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব প্রতিষ্ঠানে দান করলে কর রেয়াত দেবে এনবিআর।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
কর ছাড় পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশ, রোগীকল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর ছাড় দেওয়া সামাজিক দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করবে এবং জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই অর্থায়নে সহায়ক হবে বলে মনে করে এনবিআর।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নয় প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতি দিয়েছে এনবিআর
জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ৯ প্রতিষ্ঠানকে করছাড় দিয়েছে সরকার। কর অব্যাহতি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশ, রোগীকল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (PCSB) ও আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন। এই করছাড় ২০৩০ সালের ৩০ জুন পাওয়া যাবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে ওই আইনের ৭৬-এর উপধারা (১) আইনের ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ৩–এর অনুচ্ছেদ ২–এর দফা (১৩)–এর ক্ষমতাবলে বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে এই ৯ প্রতিষ্ঠানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেওয়া হলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবাসহ নানা খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। জনকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁদের এ ধরনের কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন সামাজিক দায়িত্ব পালনে করদাতাদের আগ্রহ বাড়াবে, অন্যদিকে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, রক্ত সংগ্রহ, জনসচেতনতা এবং স্ক্রিনিং সেবা দিয়ে আসছে। আরেক প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশন দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্বাসনে কাজ করে। এ ছাড়া পথশিশুদের জন্য স্কুল, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে। কম দামে ওষুধ উৎপাদন, গণ চিকিৎসা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণে কাজ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ ছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোও শিশু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে জড়িত রয়েছে।