দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান খালাস
Published: 28th, May 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।
এর আগে জুবাইদা রহমানের করা আপিলের ওপর ২৬ মে শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায়ের জন্য আজ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আপিলের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূইয়া শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুবাইদা রহমানের আপিল মঞ্জুর করে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও এই রায় প্রযোজ্য হবে, তিনি এই রায়ের সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ এ মামলায় তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান খালাস পেলেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ। রায়ে দুটি ধারায় তারেক রহমানের ৯ বছর কারাদণ্ড (৬ ও ৩ বছর, একসঙ্গে চলবে) এবং জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় তাঁকে দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ৬ মে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুবাইদা রহমান, যা ১৩ মে মঞ্জুর করেন আদালত। বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঞ্জুরের পর তিনি আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ১৪ মে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন মঞ্জুর করেন। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ও য় ত র ক রহম ন রহম ন র আইনজ ব র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
রায়ের কপি পেলে আইন দেখে সিদ্ধান্ত
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অন্যদিকে রায়ের অনুলিপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চান না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, রায়ের কপি পেলে আইন দেখে সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের কপি এখনও পাইনি। এটা পাওয়ার পরে কী রায় আসে, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে তার আইনগত দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমাদের যা করণীয় তাই করব। মিডিয়ার হেডলাইন দেখে তো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আর রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্যও করতে চাই না।
ইসির আইনজীবী আদালতে ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়নি।
ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আজ একাধিকবার ইসির আইন শাখার সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। এছাড়া তিনি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকেরা তাকে নানা প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে যান সিইসি।